বড় ভাইয়ের পায়ের ব্যান্ডেজ ড্রেসিং করাতে পল্লী চিকিৎসক তাফসির উদ্দীনের (২৬) ফার্মেসিতে যায় ৫ বছরের শিশুটি। এরপর ভাইকে সামনে বসিয়ে রেখে শিশুটির মুখে ওষুধ লাগিয়ে দেওয়ার কথা বলে ফার্মেসির পেছনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে পল্লী চিকিৎসক। গ্রেপ্তারের পর বৃহসপতিবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-৫ এর আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে শিশু ধর্ষণের স্বীকারোক্তিমূলক বর্ণনা দেন তাফসির উদ্দীন। এরপর আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করে। পল্লী চিকিৎসক তাফসীর উদ্দিন চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার জঙ্গল পদুয়া ইউনিয়নের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে বলে জানান সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সফিউল কবীর। তিনি জানান, গত বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের কেঁওচিয়া ছহিরপাড়া এলাকায় বড় ভাইয়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে পল্লী চিকিৎসকের হাতে ধর্ষণের শিকার হয় ৫ বছরের শিশুটি। ঘটনার পর ছাত্রীর মা বাদী হয়ে সাতকানিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসক তাফসির উদ্দীনকে বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ ও শিশুটির মা বলেন, সোমবার বিকেলে খেলতে গিয়ে পায়ে আঘাত পায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির বড় ভাই। বুধবার বিকেলে ভাইয়ের পায়ের ব্যান্ডেজ ড্রেসিং করাতে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক তাফসির উদ্দীনের ফার্মেসিতে যায় শিশুটি। ড্রেসিংয়ের পর বড় ভাইকে দোকানের সামনে বসিয়ে রেখে শিশুটির মুখে ওষুধ লাগিয়ে দেওয়ার কথা বলে পেছনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে ওই চিকিৎসক। জবানবন্দির তথ্য নিশ্চিত করে সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সফিউল কবীর বলেন, শিশুটি ও তার মায়ের কাছে ঘটনার বর্ণনা পেয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পল্লী চিকিৎসককে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে শিশু ধর্ষণের কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক।