× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শুটিংয়ে রৌপ্য জিতে আঁখির ইতিহাস

খেলা

সামন হোসেন, কাঠমান্ডু (নেপাল) থেকে
৭ ডিসেম্বর ২০১৯, শনিবার

শুটিংয়ে ধারাবাহিক ব্যর্থতার মাঝে কাল আশা দেখিয়েছিলেন আরদিনা ফেরদৌস আঁখি। গতকাল সাদদোপাতোর শুটিং রেঞ্জে ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে ভারতের প্রতিযোগীর সঙ্গে ফাইনাল শুটঅফেও সমান তালে লড়াই করেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত আর পেরে ওঠেননি। ভারতীয় শুটারের অভিজ্ঞতার কাছেই হারলেন আঁখি। শেষ দুই শুটঅফে খারাপ করায় ৩.৬ পয়েন্টে পিছিয়ে রুপা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাকে। মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম আন্তর্জাতিক পদক। এই ইভেন্টে ভারতের শ্রী পারমানানথাম স্বর্ণ ও ইবতিশাস আন্না ব্রোঞ্জ জেতেন। ইভেন্টে দলগত ব্রোঞ্জ জিতেছে বাংলাদেশ।
আগের দিন ১০মিটার এয়ার রাইফেলে হতাশ করেন আবদুল্লাহ হেল বাকী। ফাইনালের শুরুটা দারুণ করেও ব্রোঞ্জ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় কমনওয়েলথ গেমসে জোড়া রৌপ্য জয়ী এই শুটারকে। কাল দুটি ইভেন্টে অংশ নেয় বাংলাদেশের শুটাররা। ছেলেদের ২৫ মিটার র‌্যাপিড ফায়ার পিস্তলে বাংলাদেশের তিন শুটার রায়হানুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম ও এরশাদ হোসেন প্রথম দিনে খুব একটি সুবিধা করতে পারেননি। মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তলের দলগত ইভেন্টেও আশা দেখাতে পারেননি আরদিনা ফেরদৌস আঁখি, নিলুফা ইয়াসমিন ও অন্তু আনজিলা আমজাদ। আট জনের মধ্যে ৫৬০ স্কোর গড়ে ষষ্ঠ হয়ে আঁখি ফাইনালে উঠলেও তাকে নিয়ে আশাবাদী ছিলেন না কোচ সাইফুল আলম রিকিং। ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক ইন্তেখাবুল হামিদ অপুর প্রত্যাশা ছিল ব্রোঞ্জ। পদকের লড়াইয়ে আঁখির শুরুটা ভালো ছিল না। তবে একে একে ভারত ও পাকিস্তানের প্রতিযোগীরা ছিটকে পড়ায় আত্মবিশ্বাস বাড়তে থাকে বলে জানান ২৬ বছর বয়সী এই শুটার। আঁখি বলেন, ‘যখন দেখছিলাম ভারতের অনেক সিনিয়র শুটার বের হয়ে যাচ্ছেন, তখন মনে হয়েছে হয়তো একটু ভালো করছি। তখন একটু নাভার্সনেস চলে এসেছিল। মনে হচ্ছিল এখন মেডেলের দিকে যাচ্ছি। শেষ দুই শট আল্লাহর ভরসায় পিস্তলটা তুলেছি আর মেরেছি।’ গত আসরে পিস্তলের ব্যাটারিতে সমস্যা হওয়ায় একটি শট নিতে পারেননি আঁখি। বাদ পড়ে যান। কাঠমান্ডু-পোখারার আসরে খেলতে আসার আগেও পিস্তলে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। দুর্ভাগ্য পিছু নিয়েছে-এমন ভয়ও পেয়ে বসেছিল বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের (এআইইউবি) শিক্ষার্থী এই শুটারকে। তিনি বলেন ‘আসলে নিয়মটা হলো যে এক মিনিটের মধ্যে পিস্তল পরিবর্তন করতে হয়; কিন্তু গতবার এই নিয়ম আমরা জানতাম না। তখন জুরিদের অনেকেই নিয়মটা জানতেন না। এ কারণে ফাইনালে পিস্তল না আনতে পারায় শটটা নিতে পারিনি। বাদ পড়েছিলাম। এবার আসার আগে পিস্তলে একটু সমস্যা হয়েছিল। সেটা বাংলাদেশ থেকে ঠিক করে এনেছিলাম। কিন্তু শঙ্কা জেগেছিল-দুর্ভাগ্য কী আবারও সঙ্গী হচ্ছে আমার!’ শেষ ধাপে এসে সেরা হতে না পারা নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই আঁখির। রুপা জিতেই খুশি অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকে শুটিং শুরু করা এই শুটার। আঁখি বলেন, ভারতের শুটাররা অনেক সুবিধা পায়। আমার ম্যাচ টেম্পারমেন্ট ওদের চেয়ে অনেক কম। ওরা অনেক অভিজ্ঞ। সেই হিসেবে বলবো আমি তাদের বিপক্ষে ভালো লড়াই করেছি। যে পদকটা পেয়েছি, তাতে আমি অবশ্যই খুশি। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এটাই আমার প্রথম ব্যক্তিগত পদক। গোল্ড পেলে আনন্দটা আলাদাই থাকতো। যেহেতু এখনও পর্যন্ত মেয়েদের পিস্তলে এসএ গেমস থেকে সোনা আসেনি। আশা করেছিলাম যদি পারি, তাহলে টিমের জন্য ভালো। তবে যা করেছি তাতে আমি খুশি।
এসএ গেমসের ত্রয়োদশ আসরে শুটিং থেকে এ নিয়ে চতুর্থ রৌপ্য পেল বাংলাদেশ। এর আগে মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেল দলগত, ছেলেদের ৫০ মিটার এয়ার রাইফেল থ্রি পজিশন (দলগত) ও মেয়েদের ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশনে দলগত থেকে রৌপ্য এসেছিল।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর