× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রাত জেগে পিয়াজ ক্ষেত পাহারায় চাঁপাই নবাবগঞ্জের চাষিরা

বাংলারজমিন

চাঁপাই নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
৮ ডিসেম্বর ২০১৯, রবিবার

পিয়াজের দাম অনেক বেশি হওয়ায় চাঁপাই নবাবগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় চুরির ভয়ে রাত জেগে পিয়াজ ক্ষেত পাহারা দিচ্ছেন কৃষকরা। পিয়াজের জমিতে চোরের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় আছেন তারা। বেশি দাম পাওয়ার আশায় ২ মাস আগে জমিতে আগাম জাতের পিয়াজের বীজ রোপণ করেছিলেন চাঁপাই নবাবগঞ্জের অনেক কৃষক। পিয়াজের আকার বড় হয়েছে। আর ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে পিয়াজ তোলার উপযোগী হবে। বর্তমানে পিয়াজের বাজার ভালো হওয়ায় এরই মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় পিয়াজ ক্ষেতে হানা দিতে শুরু করেছে চোরের দল। তাই চুরি হওয়ার ভয়ে রাত জেগে পিয়াজ ক্ষেত পাহারা দিচ্ছেন চাষিরা। কৃষকরা জানান, এক বিঘা জমিতে পিয়াজ চাষে ৩০  থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়।
গত বছর পেয়াজ কম দামে বিক্রি হয়েছে। তবে এবার পিয়াজের বাজার ভালো। আবহাওয়াও অনুকূলে তাই ফলনও ভালো হবে বলে আশা তাদের। শেষ পর্যন্ত যদি বাজার এমন থাকে তাহলে লাভের মুখ দেখবেন তারা। তবে এরই মধ্যে পিয়াজের জমিতে  চোরের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় আছেন তারা। জেলার সদর উপজেলার হায়াতমোড় এলাকার পিয়াজ চাষি আমিরুল হক জানান, আগাম পিয়াজ লাগালে দাম বেশি পাওয়া যায়। এবার তিনি ২ বিঘা জমিতে আগাম জাতের পিয়াজ চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাবেন বলে আশা করছেন। এখন পিয়াজ অনেকটা বড় হয়ে গেছে। এবার পিয়াজের বাজার দর ভালো থাকায় লাভবান হবেন বলে আশা করছেন তিনি। কিন্তু বাজারে ভালো দাম থাকায় চোরের উপদ্রব বেড়ে গেছে। চোরের ভয়ে রাত জেগে পিয়াজের জমি পাহারা দিতে হচ্ছে। তারপরেও চোরে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। হয়তো এক জমি পাহারা চলছে আরেক জমি থেকে চোর চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে কৃষকরা বেশ চিন্তিত। আর এক পিয়াজ চাষি রুবেল জানান, আমি এবার দেড় বিঘা জমিতে পিয়াজ চাষ করেছি। জমিতে পাহারা দেয়ার কোন ফাঁকে গত বুধবার রাতে আমার ও আমার পাশের জমি থেকে চোর পিয়াজ চুরি করে নিয়ে গেছে। একই এলাকার চাষি মিনহাজুল আতিক জানান, গত বছর আমি ৪ বিঘা জমিতে পিয়াজ লাগিয়েছিলাম। প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয়েছিল ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। কিন্তু লাভ হয়নি। দাম কম ছিল। গত বছর দাম ছিল ১৩-১৪ টাকা কেজি। ওই ভয়ে এবার মাত্র ১০ কাঠা জমিতে পিয়াজ লাগিয়েছি। ১০ কাঠা জমির পিয়াজে আমার আবাদ খরচ হয়েছে প্রায় ১৭ হাজার টাকা। কিন্তু এবার পিয়াজের যে দাম আছে সেটা যদি থাকে তাতেই ভালো লাভ হবে বলে আশা করছি। পিয়াজ চাষি আশরাফুল ইসলাম জানান, অন্য বছর পিয়াজের তেমন দাম পায়নি। কোনো কোনো বছর খরচই উঠেনি। কিন্তু এবার যে বাজার দর চলছে এমন থাকলে লাভবান হবো। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল হুদা জানান, চাঁপাই নবাবগঞ্জের মাটি ও আবহাওয়া পিয়াজ চাষের উপযোগী। চলতি বছর জেলায় ২ হাজার ৫শ’  হেক্টর জমিতে পিয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আগাম জাতের পিয়াজের চাষাবাদ হয়েছে ৪০৫ হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ৫ হাজার ২৭৮ টন ফলন আশা করা হচ্ছে। গতবার ভালো দাম না পেলেও এবার কৃষকরা লাভবান হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন এই কর্মকর্তা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর