× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে তুরস্ক ও গ্রিস!

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) ডিসেম্বর ৮, ২০১৯, রবিবার, ৯:৫৩ পূর্বাহ্ন

সশস্ত্র সংঘাতের মুখোমুখি গ্রিস ও তুরস্ক। লিবিয়ার সঙ্গে করা একটি চুক্তি অনুযায়ী দু’দেশের উপকূলের মাঝামাঝি ভূমধ্যসাগরের একটি করিডোরে খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তুরস্ক। কিন্তু ওই সমুদ্র অঞ্চলের মালিকানা দাবি করে গ্রিস। এই অঞ্চল গ্রিসেরই দখলে। তুরস্কের জ্বালানিমন্ত্রী ফাতিহ দোনমেজ বলেছেন, যখন উভয় দেশ চুক্তি অনুমোদন করবে, তুরস্কের ড্রিল জাহাজ ওই অঞ্চলে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান কাজ শুরু করবে। বিপরীতে ওই অঞ্চলে নিজেদের যুদ্ধজাহাজ প্রেরণ করেছে গ্রিস। দেশটির নৌবাহিনী এ বিষয়ে কিছু না বললেও, দক্ষিণাঞ্চলীয় ক্রিটে অবস্থিত ওই বিতর্কিত এলাকায় সামরিক নৌযান পাঠানো হয়েছে বলে জানান গ্রিসের দুই বিশেষজ্ঞ। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
একজন প্রবীণ গ্রিস কূটনীতিক বলেন, যদি ওই অঞ্চলে তুরস্কের ড্রিল জাহাজ যায়, তাহলে আমাদের জাহাজ ব্যবস্থা নেবে।
এর ফলে সশস্ত্র সংঘাত তৈরি হতে পারে। আর এতে করে যুদ্ধও লেগে যেতে পারে।
আন্তর্জাতিক সরকারি আইনের অধ্যাপক অ্যাঞ্জেলস সিরিগসও নিশ্চিত করে জানান যে, তুর্কি খনিজ অনুসন্ধান প্রতিরোধে গ্রিস নিজেদের নৌ বাহিনীকে ওই অঞ্চলে পাঠিয়েছে। গ্রিসের শাসক দলের এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সিরিগস আরও বলেন, ‘তুরস্কের ড্রিল জাহাজ সেখানে থাকবে না। তুরস্কের কাছে এই বার্তা পাঠানো হয়েছে যে, গ্রিস যে অঞ্চলকে নিজের দাবি করে সেখানে কোনো ধরণের অনুসন্ধান সহ্য করা হবে না।’
এদিকে গ্রিসের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নাইকোস পানায়োতোপোলাস বৃহস্পতিবার বলেন, ‘আমরা সব পর্যায়ে সব ধরণের সম্ভাবনার জন্য প্রস্তুত।’ নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নাইকোস সুনিস বলেন, আমরা কারও সাহায্যের জন্য বসে থাকবো না। আমরা যা-ই করি, নিজেরাই করবো।
এদিকে সংঘাতময় পরিস্থিতির মধ্যে বুধবার ন্যাটো সম্মেলনের সাইডলাইনে বৈঠকে বসেছিলেন গ্রিক প্রধানমন্ত্রী কাইরিয়াকস মাইতসোতাকিস ও তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোয়ান। কিন্তু এই বৈঠক থেকে কোনো সমাধান আসেনি।
এর আগে ১৯৮৭ সালে আজিয়ান অঞ্চলে খনিজ অনুসন্ধান নিয়ে প্রায় যুদ্ধের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল এই দুই প্রতিবেশী। এরপর থেকে বিভিন্নভাবে বিরোধ নিরসনের চেষ্টা চালায় তুরস্ক ও গ্রিস। যেমন, গ্রীষ্মের সময় উভয় দেশ সামরিক মহড়া পরিচালনা থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। এছাড়া, দুই দেশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ও সামরিক বাহিনী প্রধানদের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করে। ২০১৭-১৮ সালের উত্তেজনার পর থেকে সামরিক বাহিনী প্রধানদের মধ্যকার সরাসরি টেলিফোন লাইন অকার্যকর রয়েছে।
এদিকে এই সংঘাতে গ্রিসের পক্ষে সংহতি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। অপর দিকে গ্রিসের সঙ্গে গ্যাস উত্তোলন নিয়ে চুক্তিতে যাওয়া ইসরাইলও গ্রিসের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর