× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শাবিতে বিজয় মিছিল

শিক্ষাঙ্গন

শাবি প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) ডিসেম্বর ৮, ২০১৯, রবিবার, ৬:৪৯ পূর্বাহ্ন

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ৬টি আশু দাবির অধিকাংশ প্রশাসন মেনে নেওয়ায় আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বছরের ৩৬৫ দিন হল খোলা রাখা, ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিতকরণসহ বিভিন্ন দাবিতে গত ১৮ দিন যাবত আন্দোলন করছিলেন শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার দুপুর দেড়টায় বেশিরভাগ দাবি মেনে নেওয়ার পর কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের সামনে লিখিত বক্তব্য দেন। পরবর্তীতে আন্দোলন স্থগিত করে ক্যাম্পাসে বিজয় ও আনন্দ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে আজ রোববার সকাল দশটা থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনায় বসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। এর পর দুপুর দেড়টায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সামনে প্রশাসনের সিদ্ধান্তগুলোর লিখিত বক্তব্য দেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম। এসময় ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদার তার সাথে ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ বলেন, শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবিকে আমলে নিয়ে প্রশাসন বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তন্মেধ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি বাদে বছরে ৩৬৫ দিনই হল খোলা রাখা, সমাবর্তনে ৫-৮ই জানুয়ারি হল বন্ধ না রেখে শুধুমাত্র ৮ তারিখ নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত হল বন্ধ রাখার বিষয়ে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে কথা বলা এবং তা সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত নেওয়া , ছাত্রীদের হলে প্রবেশের সময়সীমা রাত ১০টা ১৫ মিনিট করা, রোড পেইন্টিং থেকে শুরু করে যে কোন ধরনের কার্যক্রম অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অনুমোদন দেয়া, লাইব্রেরি রাত দশটা পর্যন্ত খোলা রাখা এবং রিডিং রুমের ব্যবস্থা করা, ক্যাফেটেরিয়ায় খাবারের মান বাড়িয়ে দাম কমানো, টংগুলোতে যে কোন স্বাস্থ্যকর খাবারের অনুমতি দেওয়া এবং চাহিদা থাকা সময় পর্যন্ত টং খোলা রাখা, আইআইসিটি ও পরিসংখ্যান বিভাগের কক্ষ বরাদ্দের ক্ষেত্রে অর্থ না নেয়ার বিষয়ে আলোচনা করা প্রভৃতি। এছাড়া শিক্ষার্থীদের আরো বেশকিছু দাবিও মেনে নেয়ার ঘোষণা দেন প্রশাসন। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের দেয়া ১০টি দীর্ঘমেয়াদি দাবি বাস্তবায়নে প্রশাসন কাজ করবে বলে জানান কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্তগুলোকে স্বাগত জানিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। দাবিসমূহ মেনে নেওয়ায় এটাকে নিজেদের বিজয় হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। আন্দোলন স্থগিত করে দুপুরে তাৎক্ষণিক ক্যাম্পাসে বিজয় মিছিল বের করেন তারা। তবে যেসব দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে তা কার্যকর না করলে পুনরায় আন্দোলনে যাবেন এমন শর্তে আন্দোলন স্থগিত করেন। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদী দাবিসমূহ পূরণেও প্রশাসন আন্তরিকতা প্রদর্শন করবে বলে শিক্ষার্থীরা প্রত্যাশা করছেন। প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তনকে কেন্দ্র করে শীতকালীন ছুটিতে আবাসিক হল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিলে ২০শে নভেম্বর থেকে হল খোলা রাখার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। অনুমতি নেয় নি এমন অযুহাতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে বাধা দেন প্রক্টর অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রক্টরিয়াল বডির বাকবিতন্ডা হয়। এদিকে মানববন্ধনে বাধা দেওয়ায় আন্দোলন আরও বেগবান হয়ে উঠে। পরবর্তীতে ১৬টি দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে ৬টি আশু দাবি ৪ঠা ডিসেম্বর মেনে নেওয়ার সময় বেধে দেওয়া হয়। মানববন্ধন, মশাল ও বিক্ষোভ মিছিল, সম্মিলিত গান এবং অর্বাচীন নামে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদির মাধ্যমে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখেন তারা। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পার হলে দাবি না মানলে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন এবং লাগাতার অবরোধের ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের কয়েকদফা বৈঠক শেষে রোববার দাবিগুলো মেনে নেয় প্রশাসন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর