ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মসজিদভিত্তিক শিক্ষা ও গণশিক্ষা কার্যক্রমে অস্তিত্বহীন কেন্দ্র দেখিয়ে কয়েক লাখ টাকা সম্মানী হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি ধরা পড়ার পর ওই প্রকল্পের সুপারভাইজার মো. আনিছুর রহমানকে কারন দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়। ৫ কার্য দিবসের মধ্যে তাকে এই নোটিশের জবাব দিতে বলা হলেও ২ মাসেও নোটিশের জবাব দেননি আনিছুর। সুপারভাইজার আনিছুর রহমান বর্তমানে সরাইলে কর্মরত। জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক আশেকুর রহমান ৯ই অক্টোবর ওই নোটিশটি পাঠান। যাতে আনিছুর রহমানের পূর্বের কর্মস্থলে ৮টি কেন্দ্রের কোন অস্তিত্ব নেই জানিয়ে বলা হয় পরিদর্শনের সময় কেন্দ্রের ঠিকানায় কোন কেন্দ্র শিক্ষক বা শিক্ষার্থীকে পাওয়া যায়নি। ইউনিয়ন প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন তারাও ওইসকল কেন্দ্র শিক্ষকদের ব্যক্তিগতভাবে চেনেন না। দাপ্তরিক কোন কার্যক্রমে বা অনুষ্ঠানে তারা কখনো অংশগ্রহণ করেননি।
শুধু তাই নয় মাসিক শিক্ষক সমন্বয় সভায় তাদেরকে কখনো উপস্থিত হতে দেখা যায়নি। ৮টি কেন্দ্রে নিয়োজিত শিক্ষকগন ২০১৯ শিক্ষাবর্ষের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের উপজেলা শিক্ষক সমন্বয় সভায়ও উপস্থিত হননি। কারন দর্শাও নোটিশে অস্তিত্বহীন ৮টি কেন্দ্রের বিপরীতে সম্মানী প্রদানে তার সুপারিশ ও প্রস্তাবনা কেন অবৈধ হবেনা সেটি নোটিশ প্রাপ্তির ৫ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়। ওই কেন্দ্রসমূহ কোন মাসে বা অর্থবছরে চালু হয়েছে এবং এপর্যন্ত তাদেরকে কি পরিমাণ সম্মানী প্রদানের সুপারিশ আনিছুর রহমান করেছেন তার মোট পরিমাণও লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়। কিন্তু এই নোটিশ প্রাপ্তির ২ মাস হলেও আনিছুর রহমান এর কোন জবাব দেননি। গতকাল রোববার তার মোবাইল ফোনে কল করে কোন সারা পাওয়া যায়নি। তবে উপ-পরিচালক আশেকুর রহমান নোটিশের জবাব পাননি বলে জানান। তিনি বলেন আমরা এখন তাকে দ্বিতীয় দফা নোটিশ পাঠাব। তিনি আরো জানান অস্তিত্বহীন ৮টি কেন্দ্রের মাধ্যমে আনুমানিক ৬/৭ লাখ টাকা সম্মানী নেয়া হয়েছে। এই কেন্দ্র গুলি হচ্ছে আশুগঞ্জ সদরের বৈকন্ঠপুর পশ্চিমপাড়া মক্তব(শিক্ষক সোহেল মিয়া), লালপুরের চর-লালপুর পশ্চিমপাড়া মক্তব(শিক্ষক হযরত আলী), দুর্গাপুর গফুর মিয়ার বাড়ির মক্তব (শিক্ষক মিজানুর রহমান), তাজপুর উত্তর পাড়া মক্তব(শিক্ষক ইব্রাহিম খলিল), আশুগঞ্জ সদরের সিরাজ মিয়ার বাড়ির মক্তব (শিক্ষক মো. জুয়েল মিয়া), দুর্গাপুরের সোহাগপুর উত্তরপাড়া মহিলা মক্তব (শিক্ষক আসমা আহমেদ), বড় তল্লা পশ্চিমপাড়া মক্তব(শিক্ষক মো. জামির হোসেন), লাইনপাড়া মক্তব (শিক্ষক মো. তৌফিকুল ইসলাম)।