× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কোটালীপাড়ায় অবরুদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতারা

বাংলারজমিন

কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
৯ ডিসেম্বর ২০১৯, সোমবার

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে জনতার রোষানলে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতারা অবরুদ্ধ হয়েছেন। বিক্ষুব্ধ জনতা আওয়ামী লীগ নেতাদের পথ আটকে  মিছিল করতে থাকে। প্রায় ঘণ্টা খানেক অবরুদ্ধ থাকার পর কোটালীপাড়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় অবরুদ্ধ নেতারা ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে যেতে সক্ষম হয়। শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বান্ধাবাড়ী ইউনিয়ন কমিটির সম্মেলনে বান্ধাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, উপজেলা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৯শে নভেম্বর থেকে কোটালীপাড়ার ১১ ইউনিয়নে সম্মেলন করে নতুন কমিটি গঠনের কাজ চলছিল। পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী শনিবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বান্ধাবাড়ী ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে বান্ধাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সম্মেলনে যোগ দেন। সম্মেলন শেষে বান্ধাবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি গঠনের জন্য উপজেলা কমিটির সভাপতি সুভাষ চন্দ্র জয়ধর ও সাধারণ সম্পাদক এসএম হুমায়ূন কবির ইউনিয়ন সভাপতি ও সম্পাদক পদে প্রার্থীদের লিখিত আবেদনপত্র জমা দিতে বলেন। এ সময় ইউনিয়ন সভাপতি পদেÑ রতন কুমার মিত্র, কৃষ্ণপদ পাল, নিতাই দে, লিয়াকত হোসেন, আজম খান, রহিম মিয়া, সিরাজুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক পদেÑ মহব্বত আলী গোলদার, আব্দুল হান্নান শেখ, মুজিবুর রহমান, মিজানুর রহমান মানিক, ইউনুস পাইক, ইমরান শেখ ও চুন্নু গাজী তাদের আবেদনপত্র জমা দেন।
উপজেলা কমিটির কাছে ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা ভোটের ভিত্তিতে নির্বাচিত হবার দাবি জানান। উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ তাদের দাবি না মেনে নিজেদের পছন্দ মতোÑ সভাপতি পদে লিয়াকত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক পদে মিজানুর রহমান মানিকের নাম ঘোষণা করেন। এ সময় প্রার্র্থীদের সমর্থকরা আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘিরে ‘এ কমিটি মানি-না মানব-না’ বলে মিছিল করতে থাকে।
 বিক্ষুব্ধ জনতার রোষানলে পড়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র জয়ধর ঘটনাস্থল থেকে কৌশলে পালিয়ে যায়। উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদকসহ অন্য নেতারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করার জন্য গাড়িতে উঠলেও বিক্ষুব্ধ জনতা তাদের গাড়ি অবরুদ্ধ করে রাখে। তারা বিদ্যালয়ের মূল ফটক বন্ধ করে দিয়ে মিছিল করতে থাকে। উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতারা প্রায় ঘণ্টা খানেক গাড়িতে অবরুদ্ধ থাকার পর কোটালীপাড়া থানা পুলিশ বিদ্যালয়ের মূল ফটকের তালা ভেঙে অবরুদ্ধ নেতাদের মুক্ত করে। এ ব্যাপারে বান্ধাবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি রতন কুমার মিত্র জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র জয়ধর আমাদের মতামতের তোয়াক্কা না করে সভাপতি ও সম্পাদক নির্বাচিত করেছেন। আমরা এক তরফা ঘোষিত কমিটি মানি না। উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুভাষ চন্দ্র জয়ধর বলেন, নিয়মতান্ত্রিক ভাবেই বর্তমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে কারও কোনো আপত্তি থাকলে আমাদের কিছুই করার নাই। কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনর্চাজ শেখ লুৎফর রহমান জানান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর