× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আলোচনায় মোহনের ‘মঙ্গল আসর’

মন ভালো করা খবর

কাজল ঘোষ
৯ ডিসেম্বর ২০১৯, সোমবার

তিনি শিক্ষক। অন্যরকম এক শিক্ষক। ইতিমধ্যেই ‘মঙ্গল আসর’ নিয়ে আলোচনা সর্বত্র। কলেজে ক্লাস শেষে তিনি বাড়ি দৌঁড়ান না। আলোকিত মানুষ গড়ার স্বপ্নের পেছনে দৌঁড়ান। স্কুলের সময় শেষে ছেলে মেয়েদের নিয়ে বসেন মঙ্গল আসরে।

খ্যাতনামাদের জীবনী, আদর্শ জীবন গঠনে প্রয়োজনীয় উপকরণ, ইতিহাস, ঐতিহ্য আর আদর্শবান মানুষ গড়ার পথ নির্দেশনা দেয়া হয় এ আসরে। সপ্তাহে অন্তত দু’তিন দিন ছেলেমেয়েদের নিয়ে পাঠে বসেন। আর এই মঙ্গল আসরে প্রত্যেকেই একটি নির্দিষ্ট বই বা খ্যাতনামা ব্যক্তির ওপর পড়াশোনা করে আসে।
পঠিত বইয়ের ওপর আলোচনা হয়। তার ওপর ভিত্তি করে মূল্যায়ণ পরীক্ষাও নেয়া হয়। যারা ভাল করে তাদের দেয়া হয় বই উপহার। শুধু তাই নয়, শিক্ষার্থীদের ঘরে ঘরে পাঠাগার গড়ে তোলার কার্যক্রমও পরিচালনা করছেন। একটি তালিকা করা হয় প্রত্যেকের বাসায় কি কি বই আছে তা নিয়ে। তারপর সে তালিকায় প্রয়োজনীয় যে সকল বই দরকার তা ধীরে ধীরে সংগ্রহ করে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বাসায় একটি করে পাঠাগার তৈরির কার্যক্রম চলে। এভাবে সকল শিক্ষার্থীরা তাদের বাসায় একটি করে পাঠাগার গড়ে তোলার কাজে লিপ্ত থাকে বছর জুড়েই। এর বাইরে দেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সম্পর্কে জানাতে ছেলে মেয়েদের নিয়ে ছুটে চলেন সেসব স্থানে। সাধারণ শিক্ষা সফরের চেয়ে এটিও কিছুটা ব্যতিক্রমভাবে পরিচালনা করা হয়। স্থানটিতে নিয়ে যাওয়ার আগে সেই স্থান সম্পর্কিত তথ্যাদি ছেলে মেয়েদেরকে দেয়া হয় যেন তারা প্রস্তুতি নিতে পারে। আর সেই ঐতিহাসিক স্থানটি বেড়াবার পর সকলকে কিছু একটা লিখতে বলা হয়। কেমন দেখলো সেই স্থানটি? কি ভাল লেগেছে? কেন এই স্থানটি ঐতিহাসিক? বইয়ের বাইরে জীবন গঠনে প্রয়োজনীয় পত্রপত্রিকাও নিজ খরচায় ছেলে মেয়েদের হাতে তুলে দেন তিনি। যে সকল স্থান বেড়াতে নিয়ে যান ছেলে মেয়েদের সেখানে তাদের সেই স্থান সম্পর্কে বলতে দেয়া হয়। আর তা ভিডিও করে তাদের দেখানো হয়, কে কেমন ঘুরলো। কলেজের নিয়মিত পাঠদান, দাপ্তরিক কাজের বাইরে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে এ কাজটি নিরলসভাবে করে চলেছেন নির্ভৃতচারী এক শিক্ষক। সেই শিক্ষকের নাম আবদুল্লাহ আল মোহন।

ব্যতিক্রমি এই শিক্ষক যিনি প্রথম জীবনে ছিলেন ব্যাংকার। নিরাপদ চাকরি ছেড়ে তরুণদের জন্য কিছু করতে হবে এমন চিন্তা থেকে পেশা বদল করেন। ব্যাংকের কর্মকর্তা থেকে শিক্ষকতায় যোগ দেন।মা হাসিনা বেগম শিক্ষক্তায় আসার পিছনে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে । শিক্ষকতায় যোগ দিয়ে মোহন রাজধানীর চাকচিক্য ছেড়ে চলে যান ঢাকার বাইরে মানিকগঞ্জ। সেখান থেকে বর্তমানে ভাসানটেক সরকারি কলেজে অধ্যাপনায় যুক্ত আছেন। শিক্ষার্থীদের ইতিবাচক মানসিকতা গড়ে তুলতে, ইচ্ছাশক্তিকে প্রবল করতে সামাজিক মাধ্যমেও নেতিবাচক কনটেন্টের বিপরীতে ইতিবাচক কনটেন্ট নিয়ে কাজ করছেন। সফল মানুষ আর বিখ্যাত মনীষীদের স্মরণ করে তিনি ফেসবুকে তাদের জীবন ও কর্ম তুলে ধরছেন প্রতিদিন। শিক্ষাবিদ পাওলো ফ্রেইরে, আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল, জ্যোতির্বিজ্ঞানী আব্দুল জব্বারের মতো গুণী মানুষদের জীবনকথা আমরা জানতে পারি এই শিক্ষকের লেখার মাধ্যমে। তাছাড়া শিক্ষার গুণগত পরিবর্তনে নিয়মিত লেখালেখিও করে থাকেন। আর এই বহুমুখি কার্যক্রম পরিচালনার সুফলও পেয়েছেন। একসময় ছিল স্কুল কলেজে বার্ষিক যে কোন অনুষ্টানে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হতো থালা বাটি। কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে তিনি সামাজিক মাধ্যমে লিখে আসছিলেন উপহার যেন হয় বই। অবশেষে সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রণালয় একটি নির্দেশনা জারি করে, এখন থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপহার হিসাবে দেয়া শুরু হয়েছে বই।

একজন আব্দুল্লাহ আল মোহন: যমুনার পাড়ে বেড়ে ওঠা। পাবনার নগরবাড়ী ঘাটের ‘সন্তান’। রাজধানীর ভাসানটেক সরকারি কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞানের সহকারি অধ্যাপক। স্ত্রী রাশনা রশীদও সরকারি গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক। উচ্চতর শিক্ষা নেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগ থেকে। লেখাপড়া শুরু ধোবাখোলা করোনেশন উচ্চ বিদ্যালয় (নাটিয়াবাড়ি, বেড়া, পাবনা) পরে ঢাকার সরকারি তিতুমীর কলেজে। বিপরীতমুখী পেশাজীবনের বহুমাত্রিক অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ তার জীবন। শিক্ষকতায় যোগ দেয়ার আগে আলোকিত মানুষ গড়ার প্রতিষ্ঠান বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের ব্যক্তিগত সহকারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তেমনি বিশ্ববরেণ্য জাদুশিল্পী জুয়েল আইচের জাদুদলের একজন সদস্য হিসেবে আলোক প্রক্ষেপণেও সহযোগিতা করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে (১৯৯৪-১৯৯৮) কাজ করেছেন ভোরের কাগজে, প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, পরে কিছুকাল ছিলেন সাব-এডিটর। কাজ করেছেন প্রোডাকশন ম্যানেজার পদে চ্যানেল আইয়ের ইমপ্রেস টেলিফিল্মেও। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রশিকার প্রশিক্ষণ বিভাগের প্রশিক্ষক পদের দায়িত্বও উপভোগ করেছেন। এরপর রাষ্ট্রায়ত্ব সোনালী ব্যাংকেও কাজ করেছেন ছয় বছরের বেশি সময়। অবশেষে থিতু হয়েছেন পছন্দের নেশা অর্থাৎ শিক্ষকতায়। গতানুগতিকতার ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়া, খাতা দেখার মতন দায়িত্ব পালনের পাশাপশি ভিন্ন ধারার সৃজনশীল সহশিক্ষার আনন্দময় আয়োজন ‘মঙ্গল আসর’-এর নিয়মিত পরিচালনা করে হয়ে উঠেছেন একজন অন্য রকমের স্বপ্নচাষী শিক্ষক। ব্যক্তিগত জীবনের নানা চড়াই-উৎড়াই পেড়িয়ে আপন আনন্দে শিক্ষার্থীদের মঙ্গল সাধনায় নিমগ্ন রয়েছেন। "মঙ্গল আসরের " সকল কাজের নেপথ্য সহযাত্রী জীবন সঙ্গী রাশনা রশীদ। প্রাক্তন পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েসের ছড়ার ছবিতে একজন শিক্ষক আবদুল্লাহ আল মোহন হলেন, ‘মুগ্ধকরণ রক্তবরণ, নদীর নাম লাগলে মরণ।’ মিজারুল কায়েসের স্নেহধন্য বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের এই সদস্য লন্ডন-আমেরিকার মতোন পছন্দসই বিদেশের লোভনীয় পোস্টিং এর মোহ ত্যাগ করেছেন শ্রেণিকক্ষের পাঠদান এবং ‘মঙ্গল আসর’পরিচালনার সুযোগ বঞ্চিত হতে হবে বলে।

যেভাবে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ কাড়েন: শিক্ষার্থীদের মাঝে ইতিবাচক মানসিকতা বাড়াতে, ইচ্ছাশক্তিকে প্রবল করতে ফেসবুকের মতন সামাজিক মাধ্যমে লেখালেখিতেও দারুণ সক্রিয় তিনি। এইসব লেখালেখির ইতিবাচকতা দেখে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ তাকে ‘ফেসবুক সম্রাট’ বলতেও দ্বিধা করেননি। তার লেখালেখির আগ্রহের অন্যতম বিষয় জীবনী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিয়মিত সরব কিন্তু সেখানেও সময় ব্যয় করেন জীবনী, ছড়া-কবিতা, প্রবন্ধে-আলোচনায়, সর্বোপরি মননশীল চিন্তাচর্চায়। লেখালেখির মাঠ-ঘাট-পথে অনেকদিনের পথিক হলেও তার প্রকাশিত কোন গ্রন্থ নেই। এ নিয়ে কোন খেদও নেই তার। কারণ তার লেখার মূল উদ্দেশ্য প্রিয় শিক্ষার্থীদের মনের নেতিবাচকতাকে দূর করে মানসিক শক্তিতে উজ্জ্বীবিত করার মানস। ফলে শিক্ষার্থীদের যে কোন প্রতিযোগিতায় কিংবা সুযোগে সবসময়ের সেরা উপহার, পুরস্কার হিসেবে বই, পত্র-পত্রিকা দিতে সদা তৎপর তিনি। এক্ষেত্রেও একটু অন্য রকম এই শিক্ষক। বঙ্গবন্ধু কিংবা শেখ হাসিনার জন্মদিনে সকলকে উপহার দেন তাদের জন্য অতি প্রয়োজনীয় বিবেচনায় বাংলা একাডেমির বিভিন্ন অভিধানসহ বাংলাদেশের সংবিধান, দেশপ্রেমের কবিতা। প্রায় নিয়মিতভাবে প্রতিটি ক্লাসেও ছাত্র-ছাত্রীদের বই অথবা পত্রিকা উপহার দিয়ে পাঠপ্রবণতা বৃদ্ধিতে সচেষ্ট থাকেন। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য তার পকেটে থাকে চকলেট কিংবা বিস্কিট। সকলে মিলে জ্ঞানচর্চায় যৎসামান্য হলেও ব্যবস্থা থাকে খাবারের নিত্য সহযোগ। সকল শিক্ষার্থীর ভিড়ে তিনি খুঁজে বেড়ান প্রিয়তম সন্তান মহুয়ার মুখ। 

কথা হয় তার সঙ্গে। প্রমেই জানতে চাওয়া-শিক্ষকতার বাইরে কেন অন্যভাবে চিন্তা করতে গেলেন ?
সহজ উত্তর, মহামতি কনফুশিয়াস বলেছিলেন, ‘যা সঠিক, সেটি জানার পর তা পালন না করা কাপুরুষতা’। এটা জানার পর ‘জন্মের দায়শোধে’ স্বপ্নবান নবীনদের সাথে আমিও ‘মানুষ তার আশার সমান বড়ো’ বাণীর প্রদীপ জ্বালিয়ে ‘পথ ভুলিবার খেলায়’ নিজেকে ‘পথে পথে’ ‘ছড়াইয়া’ দিতেই বৃত্তের বাইরে চলে আসার চেষ্টা শুরু করি। এমন চিন্তা থেকেই সৃজনশীল সহশিক্ষার আনন্দময় আয়োজন ‘মঙ্গল আসর’ কার্যক্রমের যাত্রা। লক্ষ্য একটাই শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান উন্নয়ন, নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধ জাগরণ ঘটানো।

‘গড়ি ঘরে ঘরে পাঠাগার’ নিয়ে কিছু বলবেন? উত্তরে বলেন, সৃজনশীল শিক্ষা কার্যক্রম ‘মঙ্গল আসর’-এর ‘ঘরে ঘরে পাঠাগার’ গড়ে তোলার আন্দোলনের কথাও বলতেই হয়। পাঠাগার গড়ে তোলার আমার স্বপ্নের কর্মসূচির নাম ‘গড়ি ঘরে ঘরে পাঠাগার’ : সৃজনশীল শিক্ষার আলোকিত আন্দোলন। আমাদের মূলমন্ত্র ‘আলোকিত মানুষ চাই, করি দৃঢ় অঙ্গীকার, গড়ি ঘরে ঘরে পাঠাগার’। আমাদের ভাসানটেক সরকারি কলেজের প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীর বাড়িতে একটি করে নিজস্ব- পারিবারিক গ্রন্থাগার বা পাঠাগার গড়ে উঠবে। ছেলে-মেয়েরা শ্রেণিকক্ষে সৃজনশীল শিক্ষার নানান ক্ষেত্রে, যেমন রচনা লেখা, উপস্থাপনা, বিতর্ক, সাধারণ জ্ঞানসহ পাঠ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের আলোচনায় মানসম্পন্ন দক্ষতা প্রদর্শন করে নিয়মিতভাবে পুরস্কার পাবে, নেবে সবসময়ের সেরা উপহার বই এবং সেই সব বই দিয়েই ভরে তুলবে আপন আপন ঘরের সেলফটি, আলমিরাটি, তেমনটিই আমি দেখতে চাই। আমার ছেলে-মেয়েদের স্বপ্নের, কাংখিত বাংলাদেশটির সুন্দর সূচনা যেন তার ঘরের বইয়ের সেলফ থেকেই নবজীবন লাভ করে। আর তাই ‘ঘরে ঘরে পাঠাগার’ গড়ে তোলার কাজ শুরু করি।

সামাজিক মাধ্যমে নেতিবাচক কনটেন্টের বাইরে ইতিবাচকতা নিয়ে সাড়া কেমন পেয়েছেন ?
জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের নামে (https:/www.facebook.com/abdullah.mohan) একটি পাতা আছে আমার। যেখানে জীবনী, কোন ঘটনা বা দিবসের তাৎপর্য, গ্রন্থ পরিচিতি, সিনেমা আলোচনাসহ বিবিধ বিষয়ের উপস্থাপনা থাকে কখনো ‘ভাব-অনুভব’ শিরোনামে, কখনো ‘বিচ্ছিন্ন ভাবনা’য়, ‘সন্দেশ কিংবা সুখবর’, ‘মনমোহন দাস কহেন’, নির্বোধ বচনামৃত, অর্বাচীন বচন’-এ রকম শিরোনামে। আসলে বিষয়ের উপর নির্ভর করে কোন ধরনের কাঠামোতে রচনাটি উপস্থাপনা করব। ছোট আকারের লেখাগুলো জনপ্রিয় হলেও জীবনীর মতন বড় রচনা পাঠ ও পর্যালোচনাটা খুব বেশি আশাপ্রদ নয় ততটা তবে আমি হতাশও নই। দেশ-বিদেশের অনেকেই পড়েন, মতামত দেন, ফোনেও কথা বলেন। মঙ্গল আসরের নামে একটি ফেসবুক গ্রুপও খুলে পরিচালনা করে থাকি (লিংক https:/www.facebook.com/groups/874160249307057/?ref=bookmarks), যা আসলে সকলের জন্যই উন্মুক্ত। সঠিক ও সর্বশেষ তথ্য এবং মতামত জানার প্রতি আগ্রহ গড়ে তুলতে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত নানা ধরনের সংবাদ, মন্তব্য প্রতিবেদন এবং উপসম্পাদকীয়, মতামতের প্রয়োজনীয় লিংক নিয়মিত উপস্থাপন করার চেষ্টা করি।

সামনের দিগুলোতে কিভাবে ভাবছেন?
মানবিক সমাজ গড়ে তুলতে সমবেত প্রচেষ্টায়, যূথবদ্ধভাবে এগুতে চাই সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণে। মহামতি কনফুশিয়াসের ‘কম শাসনই সুশাসন’ চেতনাকে ধারণ করে শিক্ষার্থীর বিবেচনাবোধ, কা-জ্ঞানকে সমৃদ্ধতর করার মাধ্যমে এগুনোর চেষ্টাটাই বেশি লাভজনক। শিক্ষার্থীর মানসিক জগতকে শুভচিন্তার দ্বারা প্রভাবিত করতে পারলে তাকে শাসনে ততটা শ্রম ও শক্তিক্ষয় করতে হয় না বলেই আমার অভিজ্ঞতা। ফলে নেতিবাচকতা এড়ানো যায়, পর্যায়ক্রমে ভুলের মাত্রা কমিয়ে ফেলা সম্ভব। আমি রহস্যকরে বলে থাকি ‘আমার ক্লাসগুলো হলো তোমাদের ভুল করার ট্রেনিং সেন্টার’। এক্ষেত্রে আমি উপস্থিত সকলকে সক্রিয় করতে, অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে আয়োজিত বক্তৃতা, বিতর্কসহ বিভিন্ন বিষয়ের প্রতিযোগিতায় সবাইকে বিচারক হিসেবে আমার তৈরি করা ছক সরবরাহ করি। ফলে সকলেই প্রায় সমানভাবে দৃষ্টি দেয় বন্ধু প্রতিযোগীর নানান ভুল-ত্রুটি ধরতে, মন্তব্য লিখতে। আবার প্রতিযোগী ও পরে বিচারকের ভূমিকা পালন করে। ফলে আয়োজনে বা ক্লাসে পরিবেশ স্বাভাবিক থাকে। তাদেরই কেউ সময় নিয়ন্ত্রক, কেউ অতিথি, কেউ সমালোচক, কেউ বা আবার সভাপতি। যে কোন তিন জনের ছকে প্রদ্ত্ত নম্বর যোগ করে ফলাফল তৈরি করে পুরস্কার, উপহার প্রদান করা হয়। ফলে ন্যায়বিচারও প্রতিষ্ঠিত হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর