× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মিয়ানমারকে বর্জনের আহ্বান

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) ডিসেম্বর ৯, ২০১৯, সোমবার, ১২:৪৬ অপরাহ্ন

বেসামরিক নেত্রী অং সান সুচি যখন তার দেশে রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর গণহত্যার অভিযোগে হেগে অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) উপস্থিত হতে যাচ্ছেন, তখন তার দেশ মিয়ানমারকে বর্জনের ডাক দিয়েছে ১০ টি দেশের ৩০ টি মানবাধিকার, শিক্ষাবিদ এবং পেশাদারদের সংগঠন। এর মধ্য দিয়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার ১০ই ডিসেম্বর থেকে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত আইসিজেতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে করা গণহত্যা মামলার শুনানি শুরু হচ্ছে। চলবে ১২ই ডিসেম্বর পর্যন্ত।

এতে মিয়ানমারের পক্ষ অবলম্বন করতে সেখানে উপস্থিত হচ্ছেন অং সান সুচি। ঠিক এমনই সময়ে ‘বয়কট মিয়ানমার ডট অর্গ’ চালু করেছে তাদের ‘বয়কট মিয়ানমার ক্যাম্পেইন’। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশন, ফরসি ডট কো, রেস্টলেস বিংস, ডেস্টিনেশন জাস্টিস, রোহিঙ্গা হিউম্যান রাইটস নেটওয়ার্ক অব কানাডা, রোহিঙ্গা হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভ অব ইন্ডিয়া ও এশিয়া সেন্টার। এ নিয়ে বয়কট রোহিঙ্গা ডট অর্গ লন্ডন থেকে তাদের ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে।
তাতে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ৯ই ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবসে এসব সংগঠন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মিয়ানমারকে বর্জনের আহ্বান সম্বলিত প্রচারণা শুরু করেছে।

এতে আরো বলা হয়, মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে সেনাবাহিনী ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো নৃশংসতা, গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। এর পক্ষে প্রত্যক্ষ ও ডকুমেন্টারি প্রমাণ রয়েছে। সারাবিশ্ব এর নিন্দা জানালেও হতাশার কথা, এ অভিযোগগুলো প্রত্যাখ্যান করছেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচি।

জার্মানভিত্তিক ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা নাই সান লুইন বলেছেন, জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেছে যে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জাতিকে নির্মূল করে দেয়ার একটি নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। রোহিঙ্গা অধিকারকর্মী হিসেবে আমরা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অধীনে ১৫ বছর গৃহবন্দি থাকা অং সান সুচির মুক্তির আন্দোলন করে এসেছি। কিন্তু তিনি সেই অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর শুধু খুনি সেনাবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে চলছেন। তাই আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক ও আনুষ্ঠানিক সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে সবার প্রতি আহ্বান জানাই।

তিনি আরো বলেন, উপরšুÍ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার নিন্দা জানিয়েছে, মিয়ানমারে মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের স্পেশাল র‌্যাপোর্টিউর ইয়াংহি লি দেখেছেন, একইভাবে রাষ্ট্র নির্দেশিত সেনাবাহিনী তার জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে একই রকম নির্যাতনে লিপ্ত। এসব সংখ্যালগুর মধ্যে রয়েছে শান, কাচিন, তা’আং, কারেন, রাখাইন এবং চিন সম্প্রদায়।

অং সান সুচিকে ২৮ বছর আগে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয় নরওয়ের নোবেল কমিটি। কিন্তু তিনি সম্মানের কোনো মূল্যই দেন না এমন দাবি করে সুচির ওই পুরস্কার কেড়ে নিতে অনলাইনে আবেদন চালু করেছে এই গ্রুপটি। ১৯৯০ এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রে ছাত্রাবস্থায় ফ্রি বার্মা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন অধিকারকর্মী ড. মুয়াং জারনি। তিনি বলেছেন, বর্ণবাদবিরোধী ক্রেতা ও সংস্কৃতির মানুষদের কাছে আমার দাবি মিয়ানমারকে বর্জন করুন।  
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর