প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থিতা থেকে সরে এসেছেন ব্যবসায়ী সামির খতিব। ফলে সুন্নি মুসলিম ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি নতুন করে প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী হিসেবে উঠে এসেছেন। এ খবর প্রকাশ হওয়ার পর লেবাননের পার্লামেন্টের বাইরে প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু হয়। লেবাননে এখন প্রচন্ড অর্থনৈতিক সঙ্কট। এই সঙ্কটকে মোকাবিলা করতে হবে নতুন সরকারকে। সেই সরকারে নেতৃত্ব দিতে পারেন সাদ হারিরি। এ খবর দিয়ে অনলাইন আল জাজিরা বলছে, প্রেসিডেন্ট মিচেল আওন এর জবাবে ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত আইন প্রণেতাদের সঙ্গে শলাপরামর্শ স্থগিত করেছেন। এই পরামর্শের মাধ্যমে আজ সোমবার খতিবকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নাম ঘোষণার কথা ছিল।
তবে পার্লামেন্টের বেশির ভাগ দলের অনুরোধের প্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট ওই বিলম্বের ঘোষণা দিয়েছেন।
দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক মন্দার কারণে ব্যাপক গণবিক্ষোভের মুখে গত ২৯ শে অক্টোবর পদত্যাগ করেন সাদ হারিরি। দেশটিতে ক্ষমতার ভাগাভাগি ব্যবস্থার অধীনে প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই হতে হবে একজন সুন্নি মুসলিম। এ সময়ে নতুন একজন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি পদত্যাগ করার পর নতুন একটি মন্ত্রীপরিষদের বিষয়ে সাদ হারিরি এবং তার প্রতিপক্ষ লেবাননের শিয়া গ্রুপ হিজবুল্লাহর মধ্যে বিভক্তি চরমে ওঠে। গত মাসে প্রধানমন্ত্রী পড়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন সাদ হারিরি। ফলে হারিরি দল সহ বড় বড় দল থেকে গত সপ্তাহেই খতিবের বিষয়ে একমতে আসে। কিন্তু সুন্নি মুসলিমদের পক্ষ থেকে তিনি পর্যাপ্ত সমর্থন পেতে ব্যর্থ হন। এ অবস্থায় লেবাননে সুন্নিদের সবচেয়ে সিনিয়র নেতা গ্রান্ড মুফতি শেখ আবদুল লতিফ দেরিয়ান রোববার এক মিটিংয়ে খতিবকে বলেছেন, তিনি হারিরিকে সমর্থন করেন। তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে হারিরির কোনো মন্তব্য পাওয়া যায় নি।