ইউক্রেন সঙ্কট নিয়ে প্রথমবারের মতো আজ সোমবার মুখোমুখি সংলাপে বসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। এই সংলাপ থেকে বড় কোনো চুক্তির আশা কেউই করছে না। তবে কূটনীতিকরা প্রত্যাশা করছেন এর ফলে দুই দেশের নেতাদের মধ্যে আস্থা বৃদ্ধি পাবে। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে আজ বিকেলের দিকে বসার কথা রয়েছে এই সংলাপ। এতে মধ্যস্থতা করছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন ও জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল। এ খবর দিয়ে অনলাইন আল জাজিরা বলছে, ২০১৪ সালে স্বাধীনতা আন্দোলনের ঘোষণা দেয় ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়াপন্থি মিলিশিয়ারা। এর ফলে সেখানে শুরু হয় যুদ্ধ। কিন্তু পশ্চিম থেকে রাশিয়ার জড়িয়ে পড়ায় পরিস্থিতি আরো জটিল হয়।
ওই যুদ্ধে নিহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়েছেন। ইউক্রেনের একটি উপদ্বীপ ক্রাইমিয়া দখল করে রাশিয়া। এর পর পরই দোনেস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় স্বাধীনতাকামীরা। ক্রাইমিয়া দখলে নেয়ার দেশের ভিতর নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পায় পুতিনের জনপ্রিয়তা। কিন্তু এর ফলে আন্তর্জাতিক মহল থেকে দেয়া হয় অবরোধ। তবে এসব বিষয় আজকের আলোচনার টেবিলে নেই। তবে এখানে উল্লেখ রাখা প্রয়োজন যে, ক্রাইমিয়ার নিয়ন্ত্রণ কখনোই ছাড়বে না বলে পরিষ্কার বলেছে ইউক্রেন। ওই ক্রাইমিয়াকে এখনও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইউক্রেনের অংশ বলে গণ্য করে।
এরই মধ্যে ক্রেমলিন থেকে সংকেত পাঠানো হয়েছে যে, জেলেনস্কির সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত পুতিন। তিনি জেলেনস্কিকে পছন্দের এবং আন্তরিক বলে আখ্যায়িত করেছেন। পুতিন যে এই সংলাপ থেকে খালি হাতে ফিরতেন তাও মনে হয় না। কারণ, তিনি চাইছেন তার দেশের ওপর আরোপিত অবরোধ শিথিল করতে।