বিরোধিদও প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও সোমবার মধ্যরাতের পরে লোকসভায় পাস হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। জানা গেছে, দীর্ঘ সাত ঘন্টার বেশি সময় ধরে আলোচনার শেষে ৩১১-৮০ ভোটে বিলটি পাস করাতে সক্ষম হয়েছে মোদী সরকার। বিরোধীরা বলেছেন, এক মধ্যরাতে স্বাধীনতা পেয়েছিল ভারত। আর এক মধ্যরাতে তা হারালো।
বিলটি এর আগের লোকসভাতেও পাস হয়েছিল। কিন্তু রাজ্যসভাতে আনাই হয়নি। এরপরে লোকসভার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় সেটি তামাদি হয়ে গেছে। এবার রাজ্যসভায় বিলটি পাস করানোই সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। আগামী বুধবার রাজ্যসভায় বিলটি পেশ করা হবে বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে।
লোকসভায় সোমবার বিল নিয়ে ভোটাভুটির আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, এই বিল পাস হওয়ার ফলে প্রতিবেশী তিন দেশের অমুসলিম সংখ্যালঘু শরণার্থীরা ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন। কিন্তু ওই আইনের সঙ্গে এ দেশের মুসলিমদের কোনও সম্পর্ক নেই। আইনটি পাস হলে দেশের মুসলিম সমাজের কোনও সমস্যা হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য ধরে ধরে তিনি বলেছেন, সেখানকার বাসিন্দাদের দুশ্চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। তবে এদিনও অমিত শাহ জানিয়ে দিয়েছেন, খুব দ্রুত গোটা দেশে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) চালু করা হবে।
এদিকে, গত কয়েকদিন ধরেই উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটির বিরুদ্ধে আন্দোলন হচ্ছে। গত সোমবার বিভিন্ন রাজ্যে হরতাল পালিত হয়েছে। লোকসভায় সোমবার বিরোধীরা বিল নিয়ে অমিত শাহকে তুলনা করেছেন নাৎসী প্রধান হিটলারের সঙ্গে। সংখ্যালঘুদের নিশানা করার অভিযোগও তুলেছেন বিরোধীরা। বিলের বিরোধীতা করে বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, ডিএমকে, এনসিপি, সিপিআইএম, সিপিআই , মুসলীম লীগ, এমআইএম, তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি। শিবসেনা বিলের সমালোচনা করলেও শেষ পর্যন্ত বিলের পক্ষেই ভোট দিয়েছে। এছাড়া পক্ষে ভোট দিয়েছে বিজেপি, অকালি দল, বিজু জনতা দল, ওয়াই এসআর কংগ্রেস ও জনতা দল ইউনাইটেড।