× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অমিত শাহের বক্তব্যের প্রতিবাদ বিএনপি’র

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১১ ডিসেম্বর ২০১৯, বুধবার

ভারতে নাগরিকত্ব বিল পাসের দিনে লোকসভায় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বাংলাদেশ নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। গতকাল দলের  মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ভারতীয় সংসদে বিজেপি নেতা অমিত শাহ বলেছেন- বিএনপি সরকারের আমলে এদেশে সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হয়েছে। আমরা ওনার এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। জোর গলায় বলতে চাই বিএনপি সরকারের আমলে এদেশে সংখ্যালঘুরা সবচেয়ে বেশি নিরাপদে ছিলো এবং আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংখ্যালঘুরা যতটা নির্যাতিত হয়েছে অন্য কোন সময় এমন হয়নি। নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনের আগে মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে র‌্যালি করার কথা ছিল বিএনপির তরফে। পুলিশের বাধায় ওই র‌্যালি করতে পারেনি দলটি।
সংবাদ সম্মেলনে ভারতের নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা জানেন যে, ভারতে নতুন যে নাগরিকত্ব আইন করা হয়েছে সেই আইনে খুব পরিষ্কার করে তারা বলছে, পার্লামেন্টে (লোকসভা) পর্যন্ত বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে একদম এভাবে বলা হচ্ছে যে, মুসলিম সমপ্রদায়ের লোকেরা যাচ্ছে ভারতবর্ষে এবং তাদের অবৈধ অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। পার্লামেন্টে (লোকসভা) যে আইন পাস করা হয়েছে সেই আইনের মধ্যে অমুসলিম যারা তাদেরকে নাগরিকত্ব দেয়া হবে ৫ বছর গ্যাপ দিয়ে।
কিন্তু মুসলিম যারা আছেন তাদের দেয়া হবে না।
বাংলাদেশে মানবাধিকার বলতে কিছুই নেই মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের দেশে একটা মানবাধিকার কমিশন আছে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। যেটার বয়স প্রায় দশ বছর হয়েছে। এই দশ বছরে তারা একটি মাত্র রাজনৈতিক মামলা নিয়ে কাজ করেছে। আপনারা জানেন, বাংলাদেশে এখন প্রতি মূহুর্তে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। গত ১০ বছরে আমাদের দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হয়েছে দেড় হাজার। এটাকে তারা বন্দুকযুদ্ধ নামে অবহিত করেছে। কিন্তু আমাদের হিসাব মতে এটা প্রায় দুই হাজারের ওপরে। আমাদের হিসাব মতে সারা বাংলাদেশে শুধু রাজনৈতিক ভিন্নমত পোষণ করার কারণে ৩৫ লাখ লোকের নামে মামলা দেয়া হয়েছে। প্রতিনিয়ত গুম করা হচ্ছে। যেটা মানবতাবিরোধী অপরাধ।
তিনি বলেন, আজকে সারা বাংলাদেশে মানবাধিকার সমস্যাটি একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে যিনি ভিন্নমত পোষণ করবেন তার অধিকারকে হরণ করা হয়। হয় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়, হয় তাকে হুমকি দেয়া হয়, না হয় তাকে গুম করে ফেলা হয়। এসব বিষয় আমাদের দেশে এখন অহরহ হচ্ছে। এরকম পরিস্থিতি অতীতে কখনো কোন রাজনৈতিক সরকারের আমলে হয়নি। গত দশ বছরে যেটা দেশে হয়েছে সেটা আমরা কখনো দেখিনি।
ফখরুল বলেন, আজকে বাংলাদেশের সরকার শুধুমাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের সকল প্রক্রিয়া তারা করছে। যারা শ্রমিকের কাজ করছে, যারা গার্মেন্টে কাজ করছে তাদের মানবাধিকার হরণ করে নেয়া হয়েছে। যারা বিদেশে মহিলা শ্রমিকের কাজ করছে তাদের অধিকার প্রতিমূহুর্তেই লঙ্ঘিত হচ্ছে কিন্তু সরকার কিছুই করছে না। সরকার শুধু মানবাধিকারের কথা বলছে। আমাদের দেশে যে রোহিঙ্গা সমস্যা এই সমস্যা নিয়ে এখন পর্যন্ত সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি এমন কি আন্তর্জাতিক আদালতে সরকারের পক্ষ থেকে কোন কিছুই করা হয়নি। আজকে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে গাম্বিয়া মামলা করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের কোন ভূমিকা নেই।
সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়য়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম  হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, কেন্দ্রীয়  নেতা আবদুস সালাম আজাদ, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর