× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

উত্তরপত্রে নম্বর দিচ্ছে দপ্তরি

বাংলারজমিন

পলাশ (নরসিংদী) থেকে সংবাদদাতা
১২ ডিসেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার

পলাশ উপজেলার পারুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার নৈর্ব্যত্তিক উত্তরপত্রের নম্বর প্রদানে দেখা গেছে অনিয়মের চিত্র। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রসায়ন বিষয়ের নৈর্ব্যত্তিক উত্তরপত্রের নম্বর দেয়া হচ্ছে ওই বিদ্যালয়ের দপ্তরিকে দিয়ে। অথচ এটি দেখার দায়িত্ব ছিল বিদ্যালয়টির শিক্ষকদের। গতকাল বিকালে বিদ্যালয়ে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়। বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী (দপ্তরি) বৈধনাথ বনিক প্রকাশ্যে বিদ্যালয়ের মাঠে বসে শিক্ষার্থীদের নৈর্ব্যত্তিক উত্তরপত্রের নম্বর প্রদান করছেন। এসময় জানতে চাইলে বৈধনাথ বনিক জানান, তিনি ৯ম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার রসায়ন বিষয়ের ২৫ নম্বরের নৈর্ব্যত্তিক উত্তরপত্রের নম্বর প্রদান করেছেন। এই কাজ কেন করছেন তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে বিদ্যালয়ের রসায়নের সিনিয়র শিক্ষক ইকবাল হোসেন তাকে এসব দেখার জন্য দিয়েছেন। তাই তিনি মাঠে বসে উত্তরপত্র দেখে নম্বর দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের রসায়নের সিনিয়র শিক্ষক মো. ইকবাল হোসেন বলেন, তিনি দপ্তরিকে খাতা দেখতে দেননি। নৈর্ব্যত্তিক খাতা গুলো বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে ছিল। সেখান থেকে হয়তো সে নিতে পারে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল আলীকে স্কুলে না পেয়ে ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। তবে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আহম্মদ কবির জানান, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার খাতাপত্র দপ্তরি দিয়ে দেখানোর কোন এখতিয়ার নেই। এ ব্যাপারে পলাশ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ.কে.এম ফজলুল হক জানান, দপ্তরি দিয়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার খাতা দেখানোর বিষয়টি দুঃখজনক। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর