ইমরুল কায়েস, পরিসংখ্যান বলে তামিম ইকবালের পর তিনিই দেশের দ্বিতীয় সেরা ওপেনার। কিন্তু ২০০৮-এ জাতীয় দলে অভিষেক হলেও এখনো তার জায়গা পাকা করতে পারেননি। দলে তার বাদ পড়া আর আসা যাওয়ার চিত্রটা অনেকটা নিয়মিত। সবেশেষ ভারত সফরে জায়গা পান টেস্ট দলে। কিন্তু দুই টেস্টে ছিলেন সুপার ফ্লপ। চার ইনিংসে সব মিলিয়ে তার ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ২১ রান। তবে বিপিএলে ফিরেই ফের দেখেছেন রানের মুখ। গতকাল বঙ্গবন্ধু বিপিএলের উদ্বোধনী দিনে সিলেট থান্ডারের বিপক্ষে দারুণ ইনিংস খেলে হয়েছেন ম্যাচ সেরা।
১৬২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪২ রানে ৩ উইকেট হারায় তার দল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সেখান থেকে ব্যাট হাতে ইমরুল ৬১ রান করে দলকে জয়ের পথ দেখান। তার ব্যাটে ভর করে দল জেতে ৫ উইকেটে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ইমরুল। তবে নিজের ফর্মহীনতার জন্য সংবাদকমাধ্যমের সমালোচনাকে দায়ী করে ফের হন সমালোচিত। তিনি বলেন, ‘আপনাদের এই কথার জন্যই আমি ফর্ম থেকে হারিয়ে যাই। ফর্মে থাকতে থাকতে হারিয়ে যাই।’ নিজের পারফরম্যান্সে অবশ্যই খুশি কারণ চাপের মুখে খেলার চেষ্টা করেছিলাম। প্রত্যেকটা মুহূর্ত উপভোগ করেছি, কোন চাপ নেইনি চেষ্টা করেছি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয়ার।’ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের অনুপস্থিতিতে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের অধিনায়ক হওয়ার কথা ছিল ইমরুল কায়েসের। কিন্তু গতকাল হঠাৎ করেই দলের নেতৃত্ব তুলে দেয়া হয় ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার রায়াদ ইমরিতের হাতে। কেন হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত? ইমরুল বলেন, ‘আসলে দেখেন যাকে অধিনায়কত্ব দেয়া হয়েছে সে কিন্তু অনেক অধিনায়কত্ব করেছে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। সে অনেক অভিজ্ঞ বলবো, হয়তো টিম ম্যানেজম্যান্ট চিন্তা করেছে আমার চাইতে বেটার অপশন সে। দলের জন্য ভালো হবে সব চিন্তা করেই দেয়া হয়েছে। আর এটাতো দুই ম্যাচের ব্যাপার, এরপরতো রিয়াদ ভাই চলে আসছে।’