গতকাল সকাল থেকে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের আশপাশে ক্রেতা আকর্ষণের জন্য গলা ফাটাচ্ছিলেন টিকিট কালোবাজারিরা। কিন্তু সাড়া পাচ্ছিলেন কমই। দুই একজন এলেও তারা টিকিটের চড়া মূল্য শুনে সরে যাচ্ছেন। মাঠের ভিতরের দৃশ্যটা আরো পরিষ্কার। বঙ্গবন্ধু বিপিএল-এর উদ্বোধনী ম্যাচ নিয়ে তেমন আগ্রহ নেই দর্শকদের। দিনের প্রথম ম্যাচ শুরু হয় দুপুর দেড়টায়। কিন্তু মাঠে তখন ৩০০ দর্শকও নেই। ধারণা করা হচ্ছিল বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে দর্শকদের সংখ্যাও।
হ্যাঁ, বেড়েছে তবে তা ২ হাজারও ছাড়িয়েছে কিনা সন্দেহ আছে। ২০০ টাকার টিকিট কিনে বেশ কয়েকজন দর্শক মাঠে এসেছেন। আর বাকি বেশির ভাগ দশর্কই দলগুলোর স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের দেয়া ফ্রি টিকিটে মাঠে আসেন। এ বিষয়ে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শেখ সোহেল বলেন, ‘আসলে বিপিএলের শুরুতে এমনই হয়। আর অফিস খোলার দিন দুপুরে মাঠে দর্শক পাওয়া কঠিন বিষয়। দেখবেন সন্ধ্যার দিকে বাড়বে। এটি আপনারা গোটা বিপিএলেই লক্ষ্য করবেন যে দুপুরে দর্শক কম রাতে বেশি। তবে হ্যাঁ, আমরা চেষ্টা করছি দর্শক যেন মাঠে আসে সেই ব্যবস্থা করতে।’
তাহলে কি দর্শক মাঠে টানতে টিকিটের দাম কমানো হবে? শেখ সোহেল বলেন, ‘দ্রুতই আমরা সিদ্ধান্ত নেবো টিকিটের সর্বনিন্ম মূল্য ২০০ টাকা থেকে কমানোর। তবে তার জন্য আমরা আরো দুই তিনটা ম্যাচ দেখতে চাই। এরপর দর্শকদের আগ্রহটা বুঝেই মূল্য কমানোর সিদ্ধান্ত নেবো। হ্যাঁ, বলতে পারি দ্রুতই তা করা হতে পারে দর্শকদের কথা ভেবে।’