বঙ্গবন্ধু বিপিএল ২০১৯-এর প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন ইমরুল কায়েস। গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ৩৮ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলেন জাতীয় দলের এই ওপেনার। তাতে আসরের প্রথম ম্যাচে সিলেট থান্ডারকে ৫ উইকেটে পরাজিত করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সিলেটের হারে ম্লান মোহাম্মদ মিঠুনের ক্যারিয়ারসেরা টি-টোয়েন্টি ইনিংস। ৪৮ বলে ৮৪ রানে অপরাজিত থাকেন মিঠুন। তাতে ১৬২ রানের পুঁজি পায় সিলেট। ইমরুলের ফিফটি আর চ্যাডউইক ওয়ালটনের ৪৯* রানে ১৬৩ রানের লক্ষ্যটা ৬ বল হাতে রেখে টপকে যায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
রান তাড়ায় দলীয় ২০ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল চট্টগ্রাম।
নাজমুল ইসলাম অপুর করা ইনিংসের চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে ফেরেন জুনায়েদ সিদ্দিকী। ৭ বলে ৪ রান করেন তিনি। পরের বলেই ফেরেন নাসির হোসেন (০)। দলীয় ৪২ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার আভিষ্কা ফার্নান্দোকে সাজঘরে ফেরান ক্রিসমার স্যান্টোকি। ২৬ বলে তিনটি করে চার-ছয়ে ৩৩ রান করেন ফার্নান্দো। উইকেটে এসে সুবিধা করতে পারেননি রায়ান বার্লও। ৯ বলে মাত্র ৩ রান করে মোসাদ্দেকের বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন বার্ল। ৬৪/৪ থেকে চট্টগ্রামকে টানেন ইমরুল। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন চ্যাডউইক ওয়ালটন। পঞ্চম উইকেটে তাদের ৮৬ রানের জুটিতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় চট্টগ্রাম। ৩৩ বলে ফিফটি পূর্ণ করা ইমরুল আউট হন দলীয় ১৫০ রানে। ৬১ রানের ইনিংসটি তিনি সাজান ২ চার ও ৫ ছক্কায়। ওয়ালটন সংগ্রহ ৩০ বলে ৪৯ রান। ৩ চার ও ২ ছক্কা হাঁকান এই ক্যারিবীয়। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে সিলেট। দলীয় ৫ রানে বিদায় নেন রনি তালুকদার। ৮ বলে ৫ রান করে রুবেল হোসেনের বলে আউট হন রনি। দলীয় ৫১ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় তারা। ২৩ বলে ৩৫ রান করা জনসন চালর্সকে সরাসরি বোল্ড করেন স্পিনার নাসুম আহমেদ। ১০ রান পর বিদায় নেন জীবন মেন্ডিস। ৪ বলে ৪ রান করে রায়াড এমরিটসের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন জীবন। তাতে চাপে পড়ে যায় সিলেট। প্রথম ১০ ওভারে সিলেটের সংগ্রহ ছিল ৬৬/৩। পরের ১০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৯৬ রান তুলে দলটি। যাতে মিঠুনের অবদান ৬৯ রান। চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে ৯৬ রানের জুটি গড়েন তিনি। রুবেলের করা ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হন মোসাদ্দেক। ৩৫ বলে ২৯ রান করেন তিনি। মিঠুন ৪৮ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কায় ৮৪ রান করে অপরাজিত থাকেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোরটস: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, ফিল্ডিং
সিলেট থান্ডার: ২০ ওভারে ১৬২/৪ (চার্লস ৩৫, মিঠুন ৮৪*, মোসাদ্দেক ২৯; রুবেল ২/২৭, নাসুম ১/৩৪)
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১৯ ওভারে ১৬৩/৫ (আভিষ্কা ৩৩, ইমরুল ৬১, ওয়ালটন ৪৯*, সোহান ৫*; অপু ২/২৩, ইবাদত ১/৩৩, মোসাদ্দেক ১/৯)
ফল: চট্টগ্রাম ৫ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: ইমরুল কায়েস (চট্টগ্রাম)।