× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

যেভাবে ছাদে গাঁজার বাগান গড়ে তোলেন সিলেটের আজাদ

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
১৩ ডিসেম্বর ২০১৯, শুক্রবার

পিতার মৃত্যুর পর সিলেটে নিজবাড়ির ছাদে গাঁজা চাষ শুরু করেন সিলেটের আজাদ। কয়েকটি গাঁজা গাছের চারা তিনি ছাদে লাগিয়ে রাখেন। এরপর গাছ থেকে পাতা সংগ্রহ করে গাঁজা সেবন করেন। এক বছর ধরে তিনি নিজের বাসায় এ কর্মকাণ্ড করছিলেন। অবশেষে সিলেট র‌্যাবের কাছে পৌঁছে ছাদবাগানে গাঁজা চাষের খবর। র‌্যাব অভিযান চালিয়ে ওই গাঁজার বাগান আবিষ্কার করে। গ্রেপ্তার করা হয় গাঁজা চাষি আবুল কালাম আজাদকে। সিলেট নগরীর শাহপরান এলাকার খাদিমপাড়া।
আজাদের বাড়ি ওই গ্রামে। গাঁজাখোর বলে এলাকার মানুষ তাকে চেনেন। সোমবার রাতে র‌্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর বাসার ছাদে গাঁজার বাগান গড়ে তোলার কথা জানায় আজাদ। নিজে গাঁজা সেবন করার জন্য সে এই পথ বেছে নিয়েছে বলে জানায়।
খাদিমপাড়ার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে আবুল কালাম আজাদ। খাদিমপাড়ার ৪নং ওয়ার্ডের ৭নং রোডে তার বাড়ি। অভিযানের সময় র‌্যাব সদস্যরা একতলা বাড়ির ছাদ থেকে জব্দ করে চারটি গাঁজার গাছ। যত্ন করে এসব গাছ নিজের ছাদে লাগিয়েছিলেন আজাদ। র‌্যাব-৯ এর এএসপি শামীম আনোয়ার জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে জানান, আবুল কালাম আজাদ ১৬ বছর বয়স থেকে গাঁজা সেবন শুরু করে গত ১৯ বছর ধরে সেবন করে আসছে। দীর্ঘদিন গাঁজা সেবন করার একপর্যায়ে তার মনে হয় যে, অনেক টাকা নষ্ট হয়ে গেছে। সে চিন্তা থেকেই আজাদ নিজের বাড়ির ছাদে গাঁজা গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করেন। তবে তার বাবা বেঁচে থাকায় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সময় লাগে আজাদের।
র‌্যাব কর্মকর্তা শামীম আনোয়ার আরো জানান, বছরখানেক আগে আজাদের বাবা মারা যান। এরপর আজাদ বাড়ির ছাদে গাঁজার গাছ লাগান। সেই গাছ যাতে কারো চোখে না পড়ে সেজন্য ছাদে উঠার পথ বন্ধ করে দেন তিনি। তারপরও যদি কেউ ছাদে উঠেই পড়ে, সেক্ষেত্রে ‘অনাহূত অতিথিকে’ বিপদে ফেলতে ছাদের মধ্যে বিদেশি কুকুর পোষেন আজাদ। তিনি নিজে বাড়ির একটি আমগাছ বেয়ে বিশেষ কায়দায় ছাদে উঠতেন। র‌্যাব জানায়, গ্রেপ্তার আজাদকে শাহপরান থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আলামত হিসেবে গাছগুলো সংরক্ষণ করা হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর