× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সাবেক স্বামীর এসিডে দগ্ধ নারী ও শিশু পুত্র

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার ময়মনসিংহ থেকে
(৪ বছর আগে) ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯, শুক্রবার, ১২:৪৭ অপরাহ্ন

ডাক্তার দেখাতে এসে সাবেক স্বামীর ছোড়া এসিডে ঝলসে গেছে এক নারী ও তার চার বছর বয়সী শিশুপুত্র। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধরা হলেন, পালী আক্তার (২৫) ও তার চার বছরের শিশুপুত্র রোহান সরকার। ময়মনসিংহ নগরীর সারদা ঘোষ রোড এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার নামাপাড়া এলাকায়।  ঘটনাস্থল থেকে সাবেক স্বামী হাফিজ উদ্দিনকে আটক করে গণপিটুনী দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
পুলিশ ও আহতদের স্বজনরা জানায়, ত্রিশাল উপজেলার মোক্ষপুর গ্রামের মোতালেব সরকারের ছেলে হাফিজ আহমেদের সাথে একই উপজেলার নামাপাড়া এলাকার রূপালী আক্তারের বিয়ে হয় সাত বছর আগে। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন করতো স্বামী হাফিজ। কয়েক দফা যৌতুকও দেয় রূপালীর পরিবার। পরবর্তীতে আরও যৌতুক দাবী করলে পরিশোধ করতে না পারায় এক বছর আগে স্ত্রীকে তালাক দেয়।
এরই মধ্যে হাফিজ আহমেদ অন্যত্র আরেকটি বিয়ে করেন।
এ নিয়ে রুপালী আক্তার আদালতে স্বামীর বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। গত বুধবার (১১ ডিসেম্বর) আদালত এক রায়ে হাফিজুরকে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা খোরপোশ (ভরণ-পোষণ) দেয়ার নির্দেশ দেন।
সম্প্রতি রুপালীকেও তার পরিবার সম্প্রতি অন্যত্র বিয়ে দেন। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয় হাফিজুর। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে সাবেক স্ত্রী রুপালী আক্তার ময়মনসিংহ নগরীর সারদা ঘোষ রোড এলাকায় একটি বেসরকারী হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে আসলে আগে থেকেই ওৎপেতে থাকা হাফিজ রূপালীকে এসিড নিক্ষেপ করে। এসিডে রূপালীর মুখমন্ডলসহ শরীরের অনেক অংশ এবং সাথে থাকা চার বছরের শিশু পুত্র রোহানের শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
দগ্ধ রূপালী আক্তারের বড় ভাই হুমায়ুন কবীর জানান, ছেলেটি একটি সরকারি চাকরি করে বলে বোনকে হাফিজুরের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলাম। বোনের সুখের কথা চিন্তা করে ২ লাখ টাকাও দিয়েছিলাম। তার পরও বোনকে অত্যাচার নির্যাতন করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়ে তালাক দিয়ে দিয়েছে। দুই মাস আগে রূপালী আদালতে হাফিজের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। গত বুধবার (১১ই ডিসেম্বর) আদালত এক রায়ে হাফিজকে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা খোরপোশ (ভরণ-পোষণ) দেয়ার নির্দেশ দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হাফিজ আমার বোন ও ভাগিনাকে মেরে ফেলার জন্য এসিড মারে। আমি এই ঘটনার সঠিক বিচার চাই।
ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের স্থানীয় ওর্য়াড কাউন্সিলর ফরহাদ আলম জানান, আমার এলাকার কয়েকজনের সামনেই ঘটনাটি ঘটে। পরে তারা এসিড নিক্ষেপকারী হাফিজকে আটক করে গণপিটুনী দেয়। পরে পুলিশকে খবর দিয়ে তাদের হাতে তুলে দেয়া হয়।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, এসিডে মা ও ছেলের মুখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে গিয়েছে। ছেলের অবস্থা আশংকামুক্ত হলেও মা এখনও শঙ্কামুক্ত নয়।
ময়মনসিংহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল আমীন জানান, ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়রা সাবেক স্বামী হাফিজকে আটক করে গণপিটুনী দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। আহত মা ও ছেলেকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।  
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর