× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চট্টগ্রাম-৮ উপনির্বাচন / কোটিপতি মোছলেমের সঙ্গে লড়বেন লাখপতি সুফিয়ান

এক্সক্লুসিভ

ইব্রাহিম খলিল, চট্টগ্রাম থেকে
১৪ ডিসেম্বর ২০১৯, শনিবার

 জাসদের প্রয়াত নেতা মইন উদ্দিন খান বাদলের চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের কোটিপতি প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন আহমদের সাথে লড়বেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আবু সুফিয়ান। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদের নগদ ও ব্যাংক আমানত, ব্যবসার মূলধন ও গাড়িসহ সমপদ রয়েছে এক কোটি ৭৫ লাখ ৬৪ হাজার ৫৮০ টাকা। স্ত্রীর নামে স্থাবর সমপদ রয়েছে ৬ তলা বিশিষ্ট একটি বাড়িসহ এক কোটি ৫২ লাখ ৫ হাজার ৯৭২ টাকা। অস্থাবর সমপদ রয়েছে ৪১ লাখ ২৪ হাজার ৩০০ টাকার। মোছলেম উদ্দিন আহমদের স্থাবর সমপদের পরিমাণ ২১ লাখ ৩০ হাজার ৯৫২ টাকা। মোছলেম উদ্দিনের বার্ষিক আয় ২৪ লাখ ৬১ হাজার ৩৬৪ টাকা। বার্ষিক ব্যয় ১১ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৬ টাকা। নিজের আয়ের খাতের মধ্যে রয়েছে কৃষি খাতে ২০ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ২১ লাখ ৫৭ হাজার ৩৬৪ টাকা ও অন্যান্য খাত থেকে ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।
তাঁর স্ত্রীর আয় বাড়ি ভাড়া বাবদ ১০ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। পক্ষান্তরে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসভাপতি আবু সুফিয়ানের গত এক বছরে নগদ টাকা কমে দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজার ৯৬ হাজার ৮৩৩ টাকা। ২০০৮ সালে ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামার তথ্যে নগদ টাকার পরিমাণ ছিল ৫৯ লাখ ১৩ হাজার ৩০৭ টাকা।  গত নির্বাচনে বাড়ি বা এপার্টমেন্ট, দোকান বা অন্যান্য ভাড়া খাত থেকে  
সুফিয়ানের আয় ছিল এক লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ টাকা। বর্তমানে এ খাত থেকে তার আয় বেড়ে হয়েছে দুই লাখ ১৫ হাজার ৬২৫ টাকা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে মনোনয়নপত্রের সাথে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামার তথ্য বিবরণীতে এই হিসেব পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন আহমদ হলফনামার তথ্য বিবরণীতে অস্থাবর সমপক্তির মধ্যে নগদ টাকার পরিমাণ ১৮ লাখ টাকা উল্লেখ করেন। এছাড়া নিজ নামে ব্যাংকে ১৬ লাখ টাকা। স্ত্রীর নগদ টাকার পরিমাণ এক লাখ ১৪ হাজার টাকা। ব্যাংকে রয়েছে ৫৬ লাখ টাকা। মোছলেম উদ্দিনের দুটি গাড়ির মূল্য এক কোটি ৩৩ লাখ টাকা। স্ত্রীর নামে থাকা গাড়ির মূল্য ১৮ লাখ টাকা। ব্যবসার মূলধন ও অন্যান্য সমপদ রয়েছে ৮ লাখ ৪৯ হাজার ৫৮০ টাকার। স্ত্রীর নামে রয়েছে মেসার্স শিরিন বহুমুখী ফার্ম এন্ড ফিশিং এর মূলধন ৪ লাখ ৮ হাজার ৩০০ টাকা। স্থাবর সমপদের মধ্যে কৃষি জমি ১২ লাখ টাকার। অকৃষি জমি ৯ লাখ ৩০ হাজার ৯৫২ টাকা। স্ত্রীর নামে রয়েছে অকৃষি জমি ৪ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। রয়েছে ৬ তলা একটি বাড়ি। যার মূল্য এক কোটি ৪৭ লাখ ৭২ হাজার ৯৭২ টাকা। এছাড়াও গ্রামের বাড়ি কধুরখীল ও লালখান বাজারে পৈত্রিক সমপত্তির পরিমাণ ২ দশমিক ২৩ একর। রয়েছে ২টি বাড়ি। তার নামে ব্যাংক ঋণ রয়েছে (দামপাড়াস্থ ইউসিবিএল ব্যাংকে অটোলোন) ৩৪ লাখ ৯০ হাজার ৪২০ টাকা। আবু সুফিয়ান হলফনামার তথ্যে দেখান, ব্যবসা খাতে তাঁর বর্তমান আয় তিন লাখ দুই হাজার ৭০০ টাকা। যা গত নির্বাচনে ছিল ২ লাখ ৫৫ হাজার ২৯৮ টাকা। পুরোনো ঘরের ভাঙা অংশ এবং ফার্নিচার বিক্রি থেকে বর্তমান আয় দেখিয়েছেন ৫ লাখ নয় হাজার ৩৩১ টাকা। গত নির্বাচনে একই খাতে আয় দেখিয়েছিলেন ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬৬৬ টাকা। স্থাবর সমপত্তির মধ্যে অকৃষি জমি ও অর্জনকালীন আর্থিক মূল্য বর্তমানে ৩৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা। এক বছর আগে ছিল ৮০ লাখ ৫৪ হাজার ২৬৭ টাকা। এখাতে স্ত্রীর নামে থাকা সমপদের আর্থিক মূল্য ৮ লাখ ৩৩ হাজার স্থিতি রয়েছে। দালান (আবাসিক বা বাণিজ্যিক) অর্জনকালীন মূল্য হচ্ছে বর্তমানে ৫২ লাখ ৮৫ হাজার ২০০ টাকা। এই খাতে স্ত্রীর রয়েছে ১৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এক বছরে নিজের ও স্ত্রীর নামে থাকায় এই খাতে সমপদের পরিমাণ স্থিতি রয়েছে। মৎস্য খাতে বর্তমানে আয় ৬৯ হাজার ৬৭ টাকা। এক বছরে এই খাতের আয় হেরফের হয়নি। অস্থাবর সমপদের মধ্যে বর্তমানে নগদ টাকার পরিমাণ ৫০ লাখ ৯৬ হাজার ৮৩৩ টাকা। এক বছর আগে ছিল ৫৯ লাখ ১৩ হাজার ৩০৭ টাকা। বর্তমানে স্ত্রীর নামে রয়েছে ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৬১৭ টাকা এবং ১৩ লাখ ৯০ হাজার ৯৮০ টাকা। সুফিয়ানের মতো স্ত্রীরও নগদ টাকা পরিমাণ কমেছে। ব্যবসার শেয়ারের পরিমাণ ৫ লাখ টাকা স্থিতি রয়েছে। নিজের ও স্ত্রীর নামে কার ও পিকআপের মূল্য যথাক্রমে ১৫ লাখ ২১ হাজার ৫৯৬ এবং ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার পরিমাণ স্থিতি রয়েছে। নিজের নামে ৫০ হাজার টাকার মূল্যের স্বর্ণ রয়েছে। স্ত্রীর নামে রয়েছে ৩০ হাজার ও এক লাখ টাকার স্বর্ণ। এক বছরে তাও স্থিতি রয়েছে। এক বছর আগে নিজের নামে আসবাবপত্র ছিল ১০ হাজার টাকার। বর্তমানে আসবাবেব মূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা। তবে স্ত্রীদের নামে ১০ হাজার ও ৫০ হাজার টাকার স্থিতি রয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর