জাতীয় দলে এর আগে দুজন এক সঙ্গে বাংলাদেশের পেস বোলিং আক্রমণের দায়িত্ব সামলেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সৈয়দ রাসেল। মাশরাফি এখনো খেলছেন। আর এবারের বিপিএল দিয়ে নতুন পর্ব শুরু করলেন সৈয়দ রাসেল। বঙ্গবন্ধু বিপিএল-এ মাশরাফি বিন মুর্তজা ঢাকা প্লাটুনের অধিনায়ক। রাসেল সে দলের বোলিং কোচ। দুজন ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন প্রায় একই সময়ে। যদিও মাশরাফি বাংলাদেশ দলে এসেছেন রাসেলের চার বছর আগে। সমবয়সী দুই ক্রিকেটার একই অঞ্চল থেকে উঠে আসায় সম্পর্কটা শুধুই সতীর্থে সীমাবদ্ধ থাকেনি, হয়েছেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
রাসেলের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার থেমে গেছে ৯ বছর আগে। ঘরোয়া ক্রিকেটে তবুও থেমে থেমে চলছিলেন।
এই বিপিএল দিয়ে নতুন এক পর্বে পা দিলেন রাসেল। ঢাকা প্লাটুনে তিনি কাজ করছেন মাশরাফিদের বোলিং কোচ হিসেবে। কাজটা রাসেল বেশ উপভোগ করছেন। অনেকের কৌতুহল, মাশরাফির মতো অভিজ্ঞ বোলারকে তিনি কী শেখাতে পারেন। রাসেল পরিষ্কার করছেন তার ভূমিকা। বলেন, ‘আমি যদি এখন মাশরাফিকে শেখাতে যাই, এটা আসলে সাজে না। হ্যাঁ, আমরা নিজেদের ভাবনা বিনিময় করি। আমরা অভিজ্ঞতা শেয়ার করি।’ লম্বা বিরতিতে ক্রিকেটে ফিরেছেন মাশরাফি। রাসেলের আশা, দীর্ঘ দিন ক্রিকেটে না থাকলেও নিজেকে ফিরে পেতে খুব একটা বেগ পেতে হবে না বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ককে। রাসেল বলেন, ‘ওর বোলিংয়ে খুব একটা যে কিছু করতে হবে তা না। ফিটনেস নিয়ে একটু কাজ করলেই ওর বোলিং ভালো হবে। সে যদি দুই বছর পরে এসেও বোলিং করে, বল মনে হয় জায়গায় পড়বে।’ ২০০৫ সালে কলম্বোতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক সৈয়দ রাসেলের। ক্যারিয়ারে ৬ টেস্টে তার শিকার ১২ উইকেট। একই সফরে ওয়ানডে অভিষেক এই পেস তারকার। ক্যারিয়ারে ৫২ ওয়ানডেতে রাসেলের শিকার ৬১ উইকেট।