বরগুনা পৌরশহরের টাউনহল এলাকার সুলতান আলী সড়কে গণপূর্ত বিভাগের জমি দখল করে একটি ভবনের বাসিন্দাদের চলাচলের জন্য সড়ক নির্মাণ করেছে বরগুনা পৌর কর্তৃপক্ষ। গণপূর্ত বিভাগের অভিযোগ, তাদের জমি দখলে নিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ সড়ক নির্মাণ করেছে। গণপূর্ত বিভাগ সড়ক নির্মাণে বাধা দিলেও তা মানছে না পৌর কর্তৃপক্ষ। সড়কটি জনস্বার্থে নয়। এক ব্যক্তির ভবনের লোকজনদের চলাচলের জন্যই সাড়ে চার লাখ টাকা ব্যয়ে ওই সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে গণপূর্ত বিভাগ তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। বরগুনা গণপূর্ত বিভাগ সূত্র থেকে জানা যায়, পৌরসভার সুলতান আলী সড়ক থেকে জেলা শিল্পকলা একাডেমির পশ্চিমপাশে পুরাতন লেকের মাঝ বরাবর ৪০০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৫ ফুট প্রস্থ বাঁধ নির্মাণ করে বরগুনা পৌর কর্তৃপক্ষ। বাঁধের পূর্বপাশে বরগুনা সিভিল সার্জন অফিসের সাবেক করনিক আবদুল খালেক মিয়া ছয়তলা ভবন নির্মাণ করেন।
ওই ভবনের বাসিন্দাদের চলাচলের জন্য বছরের শেষের দিকে বাঁধের ওপর পাকা সড়ক নির্মাণ করে পৌর কর্তৃপক্ষ। আবদুল খালেক ভবন নির্মাণের সময় সড়কটি ভেঙে যায়। সমপ্রতি পৌর কর্তৃপক্ষ ওই সড়কটি আবার আরসিসি ঢালাই দিয়ে নির্মাণ কাজ শেষ করে।
বরগুনা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাজিদার রহমান বলেন, এটি গণপূর্তের জমি। গণপূর্তের জমিতে বাঁধ দিয়ে তাতে সড়ক নির্মাণ করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। তার অফিস থেকে এ বিষয়ে অনুমতি নেয়া হয়নি।
অন্যদিকে এ বিষয়ে আবদুল খালেক বলেন, তিনি অনেক আগে জমি কিনে সেখানে বাসা করেছেন। চলাচলের পথ নেই। বরগুনা পৌরসভার মেয়রকে বলার পর পৌরসভা থেকে সড়কটি নির্মাণ করে দেয়। পৌরসভা গণপূর্তের অনুমতি নিয়েছে কিনা তা তিনি জানেন না।
বরগুনা পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী রেজাউল করিম টুটুল বলেন, ওই সড়ক নির্মাণ করতে দরপত্র আহ্বান করা হয়নি। পরে একটি প্যাকেজের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া হবে। গণপূর্ত বিভাগের অনুমতি নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে বরগুনার পৌর মেয়র মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, তার আগের মেয়র মো. শাহজাহান মিয়া বাঁধ নির্মাণ করেছেন। তিনি সেই বাঁধের ওপর সড়কের কাজ করে দিয়েছেন।