× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কারিগরের ক্যারিশমা

ষোলো আনা

শাহাদাত হোসাইন স্বাধীন
৩ জানুয়ারি ২০২০, শুক্রবার

বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত কিছু উদ্যমী তরুণ। পড়ালেখার পাশাপাশি সমাজসেবার প্রতি ঝোঁক তাদের। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কিছু তরুণ ২০১৮ সালে গঠন করেন সমাজকর্ম ভিত্তিক সংগঠন ‘কারিগর ফাউন্ডেশন’। শুরুতে ইফতার সামগ্রী বিতরণ ও মেডিকেল ক্যাম্পে সীমাবদ্ধ ছিল তাদের কর্মকাণ্ড। এরপর সিদ্ধান্ত নেন একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করার। নিজেরাই স্বেচ্ছাশ্রম দেবেন। সমাজের সচ্ছল-অসচ্ছল পরিবারের সবাইকে মানসম্মত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে।

ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ফুয়াদ খন্দকার ও তার বন্ধু ইয়াসিন আরফাত নিলয়, নাফিস ইমতিয়াজ রাতুল, মাহমুদ হাসান, শেখ সালাহউদ্দীন, আশিকুর রহমান মিলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার আমবাগ গ্রামে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে প্রতিষ্ঠা করেন ‘আমবাগ পাঠশালা’।

এই পাঠশালায় সচ্ছল পরিবারের সন্তানরা পড়বে সাধ্যমতো বেতন দিয়ে, আর অসচ্ছল পরিবারের সন্তানরা পড়বে ফাউন্ডেশনের টাকায়। তাদের এই উদ্যমী পরিকল্পনার কথা জেনে অনেকেই এগিয়ে আসেন সহযোগিতা নিয়ে।
সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছেন ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক ও গ্রামবাসী। একখণ্ড জমির ওপর অস্থায়ীভাবে চলছে এই স্কুল। স্কুলের বেঞ্চ ও অন্যান্য সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে প্রায়ই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দেন ফাউন্ডেশনের কর্মীরা। এভাবে আর্থিকভাবে সব শ্রেণির সন্তানদের একই মানের প্রাথমিক শিক্ষা প্রদানের চমকপ্রদ পরিকল্পনার মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ‘আমবাগ পাঠশালা’। স্কুলটিতে বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৪২ জন। এর মধ্যে ২২ জন বেতন দিয়ে পড়লেও একদম ফ্রি পড়ছে ২০ জন ছাত্র-ছাত্রী।

ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ফুয়াদ খন্দকার বলেন, এই উদ্যোগে আমরা বেশ সাড়া পেয়েছি। আশা করছি ২০২০ সালে ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা হবে শতাধিক। আমরা সমাজের সব শ্রেণির সন্তানদের সু্কলে নিয়ে আসতে চাই। এটাই আমাদের লক্ষ্য। সমাজের বিত্তবান ও শিক্ষানুরাগীদের ফাউন্ডেশনের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাই।

সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, স্কুলে পড়াচ্ছেন ফাউন্ডেশনের কর্মীরাই। কেউ দিচ্ছেন স্বেচ্ছাশ্রমে কেউ নিচ্ছেন নামমাত্র পারিশ্রমিক। তাদের স্বপ্ন একদিন সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সন্তানেরা একই মানের শিক্ষা পেয়ে বড় হবে। বৈষম্যহীন সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বড় হবে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর