নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র্যাগিংসহ (শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন) নানা অপরাধের ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এর আগে গত ৫ই জানুয়ারি (দিবাগত রাত রবিবার) র্যাগিং কে কেন্দ্র করে মেসে গিয়ে ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী রাফিনকে মারধর করে অর্থনীতি বিভাগের শাকিল মোস্তফা ও একই সেশনের সমাজ কর্ম বিভাগের রিয়নসহ ৪ /৫ জন।এই ঘটনার জের ধরে সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে ফের দু'গ্রুপের সংঘর্ষে অর্থনীতি বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী অাফনান ইয়ামিনসহ ৩ জন আহত হয়।
সম্প্রতি ক্যাম্পাসে ঘটে যাওয়া অনভিপ্রেত দু'গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা প্রসঙ্গে আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর কর্তৃক সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,সিনিয়র ব্যাচ কর্তৃক জুনিয়র ব্যাচকে র্যাগ দেওয়া নোবিপ্রবি আইনের পরিপন্থী।বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন র্যাগিং এর বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। র্যাগিং এর সামান্যতম ঘটনার কথা শুনা গেলে প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে। র্যাগিং সংক্রান্ত যে কোন তথ্য-অভিযোগ ০১৭০৮-৪১৩৫৯২ এই নম্বরে জানানোর জন্য বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্ক,প্রশান্তি পার্ক -ক্যান্টিন, ক্যাফেটেরিয়া, টঙ্গ দোকান ও নীল দীঘির পাড়ে নবীনদের উপর প্রায় সময় ম্যানার শেখানোর নাম করে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন,র্যাগিং একটি অপসংস্কৃতি। শিক্ষার্থীদের মনন বিকাশে বাধা দেয় এমন অপসংস্কৃতি থেকে সবাইকে বের হয়ে আসতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় র্যাগিং মুক্ত ক্যাম্পাস গড়া সম্ভব। অন্যথায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।।