× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১ মে ২০২৪, বুধবার , ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মন্ত্রী-এমপি, সরকারি কর্মকর্তাদের উপহার /কী বলছে তোষাখানা বিধি

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১৩ জানুয়ারি ২০২০, সোমবার
প্রতীকী ছবি

মন্ত্রী-এমপি বা সরকারি কর্মকর্তাদের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় উপহার গ্রহণের কি নিয়ম? উপহার গ্রহণ করলে করণীয় কি? তার নির্দেশনা আছে তোষাখানা বিধিতে। সরকারি কর্মকর্তার দেশের ভেতরে কারও থেকে কোনো উপহার গ্রহণের নিয়ম নেই। তবে বিদেশে গেলে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে উপহার নেয়া যেতে পারে। যদি বিদেশি কোনো রাষ্ট্রদূত উপহার দেন, সেটা না নিলে সম্পর্কের অবনতি হতে পারে, তাই সেই উপহার নেয়া যাবে। তবে সেটার মূল্য যদি নির্ধারিত পরিমাণের চাইতে বেশি হয় তাহলে সেটা সরকারি তোষাখানায় জমা দেয়ার জন্য মন্ত্রি পরিষদ সচিবের কাছে একটি চিঠি দিতে হবে। সেটা ব্যবহার করা যাবে না।
২০১২ সালের জুনে হালনাগাদ করা তোষাখানা বিধি ১৯৭৪ অনুযায়ী, শুধুমাত্র বিদেশি বিশিষ্টজনদের থেকে একজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ৩০ হাজার টাকা বা তার কম মূল্যের উপহার  গ্রহণ করতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের  ক্ষেত্রে এই মূল্যমানের সীমা ৫০ হাজার টাকা এবং সংসদ সদস্যসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা- কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এই পরিমাণ পাঁচ হাজার  টাকা নির্ধারণ করা আছে।
এর বেশি মূল্যমানের উপহার বা উপহারটি যদি দুর্লভ বস্তু যেমন: পুরানো ছবি বা প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হয় তাহলে সেটা সাথে সাথে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগকে জানিয়ে  তোশাখানায় জমা দিতে হবে। কোন অবস্থাতেই নিজের কাছে রাখা যাবে না বা ব্যবহার করা যাবে না। সাধারণত প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ে যে তোশাখানা আছে সেখানে এই উপহারগুলো সাজিয়ে রাখার নিয়ম আছে। যেন সাধারণ মানুষ দেখার সুবিধা পায়। এছাড়া প্রেসিডেন্ট যেসব উপহার পান সেগুলো বঙ্গভবনে সংরক্ষিত থাকে। কিছু উপহার যেমন বিভিন্ন তৈজসপত্র বা যন্ত্রপাতি সরকারি দাপ্তরিক কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া অব্যবহৃত কিছু উপহার যেগুলো ফেলে রাখলে নষ্ট হয়ে যাবে কিংবা মূল্য হারিয়ে ফেলবে সেগুলো নিলামে তোলা  যেতে পারে, যার অর্থ সরকারি  কোষাগারে জমা দিতে হবে। তবে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, দুর্লভ ছবি বা ভিডিওর মতো অমূল্য সম্পদগুলো জাতীয় জাদুঘরে পূর্ণ নিরাপত্তা বলয়ে রাখতে বিধিতে বলা হয়েছে। কিছু পণ্য যদি বেশ মূল্যবান হয় এবং  তোশাখানা থেকে গায়েব হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে তাহলে  প্রসিদ্ধ ব্যাংকের লকারে সরকারি অর্থায়নে সেগুলো সংরক্ষণ করতে হবে। তোশাখানার জিম্মাদার দায়িত্ব পালন করে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ। তারা মূলত ওইসব উপহার সংগ্রহ, মূল্য নির্ধারণ ও সংরক্ষণের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করে থাকে। এবং সার্বিক কাজে তাদের সহায়তা করে তোশাখানা মূল্যায়ন কমিটি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব এই কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে থাকেন। এছাড়া এ কমিটির সদস্য হিসেবে থাকেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দুজন উপসচিব, এবং অর্থনীতি বিভাগ ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিব।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর