চলতি সপ্তাহে পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরে তুষারধসে গুঁড়িয়ে যাওয়া বাড়িঘরের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আরো ২১ মৃতদেহ। এ নিয়ে তুষারধস ও তীব্র শীতে জর্জরিত পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬০। কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে টিআরটি ওয়ার্ল্ড। খবরে বলা হয়, ধারণা করা হচ্ছে কাশ্মীরে তুষারধসে চাপা পড়া বাড়িগুলোয় এখনো অনেকে জীবিত আটকে আছেন। তাদের উদ্ধার করতে সময়ের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন জরুরি সেবাদানকারীরা। এখনো তুষার পড়ে থাকায় অনেক রাস্তায় যোগাযোগ বন্ধ। আহতদের সরিয়ে নিতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করছে কর্তৃপক্ষ।
পাকিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক মন্ত্রী আহমেদ রেজা কাদরি জানান, রোববার থেকে পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরে আবহাওয়া-সংশ্লিষ্ট কারণে অন্তত ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার ভয়াবহ তুষারধস আঘাত হানে ।
এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে কাশ্মীরের নীলাম উপত্যকা। কাদরি জানান, বুধবার সেখান থেকে ২১টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া, বেলুচিস্তান ও পাঞ্জাব প্রদেশে মারা গেছেন আরো ৪৫ জন।
প্রায় বছরই শীতে একাধিক তুষারধস ও ভূমিধসের শিকার হয় কাশ্মীর। এতে বন্ধ হয়ে যায় যোগাযোগ। প্রাণ হারান অনেকে। চলতি বছর কর্তৃপক্ষ বৈরি আবহাওয়ার কারণে স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে। দেশজুড়ে বন্ধ রয়েছে বহু হাইওয়ে ও পাহাড়ি রাস্তা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এক টুইটে লিখেছেন, অত্যধিক তুষারপাত ও ভূমিধসে আজাদ কাশ্মীরে বহু দুর্দশা দেখা দিয়েছে ও মৃত্যু হয়েছে। বুধবার অঞ্চলটির তুষারধসে আঘাতপ্রাপ্ত এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি।
এদিকে, আফগানিস্তানে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। এর আগে গত কয়েকদিন ধরে তীব্র কঠিন আবহাওয়ার শিকার হয়েছে দেশটি। রোববার থেকে অকস্মাৎ বন্যা, তুষারপাত ও বৃষ্টিতে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৯ জন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৩০০ বাড়ি।
আফগানিস্তানের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র আহমেদ তামিম আজিমি জানান, দুই সপ্তাহ আগে শুরু হওয়া শৈত্য প্রবাহ, ভারী তুষারপাত ও বৃষ্টিপাতে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে ভারী তুষারের চাপে ছাদ ভেঙে পড়ে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে কান্দাহার, হেলমান্দ, জাবুল ও হেরাত প্রদেশ।