× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নির্বাচন পেছাতে আপিল

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার
১৭ জানুয়ারি ২০২০, শুক্রবার

সরস্বতী পূজা উপলক্ষে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ পেছানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে দায়ের করা রিট খারিজের বিরুদ্ধে এবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়েছে। গতকাল আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবী অশোক কুমার ঘোষ এই আপিল আবেদন করেন। এ বিষয়ে আগামী রোববার আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে শুনানি হতে পারে বলে জানান এই আইনজীবী। আপিল আবেদনে, আগামী ৩০শে জানুয়ারি নির্বাচনের তারিখ স্থগিত ও ভোটগ্রহণের জন্য নতুন তারিখ নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে।

আইনজীবী অশোক ঘোষ বলেন, সরস্বতী পূজা শুরু হয় বাংলা মাঘ মাসের পঞ্চমী তিথি থেকে। পঞ্জিকা অনুযায়ী পঞ্চমী তিথি শুরু হবে ২৯শে জানুয়ারি সকাল ৯টা ১০ মিনিট থেকে শুরু হয়ে ৩০শে জানুয়ারি বেলা ১১টায় শেষ হবে। তিথি শেষ হওয়ার আগে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া যায় না। নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার অন্তত ১৫ দিন পরে নির্বাচন করতে হয়।
সে অনুযায়ী ৩০শে জানুয়ারির আগেও ভোট করার সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভোটকেন্দ্র হবে। এ কারণে দুই দিন আগ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে, যানবাহন চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করা হবে। অনেক রোডের গাড়ি বন্ধ করে দেয়া হবে। ৩০শে জানুয়ারি যদি নির্বাচন হয়, তাহলে আমরা পূজাটা কীভাবে করবো।

এর আগে ১৪ই জানুয়ারি, দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণের তারিখ পেছানোর নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট বিচারপতি জে.বি.এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ খারিজ করে দেন। আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দিয়ে আদালত বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২৯শে জানুয়ারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করেছে। সুপ্রিম কোর্টের ক্যালেন্ডারেও ২৯ তারিখ ছুটির কথা বলা আছে। আর নির্বাচন কমিশন ৩০শে জানুয়ারি ভোটের তারিখ ঘোষণা করেছে। তার দু’দিন পর এসএসসি পরীক্ষা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভোটের তারিখ পেছানোর কোনো সুযোগ নেই, তাই আবেদনটি সরাসরি খারিজ করা হলো। তবে রিটকারী আইনজীবী অশোক কুমার ঘোষ আদেশের পরই সাংবাদিকদের বলেন, এই আদেশে আমরা সংক্ষুব্ধ, মর্মার্থ ও ব্যথিত। আমরা হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে যাবো। আশা করি, সেখানে আমরা ন্যায়বিচার পাবো। রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাসগুপ্ত সাংবাদিকদের বলেন, আমরা মাননীয় আদালতের প্রতি অবশ্যই শ্রদ্ধাশীল। তবে আমরা সংক্ষুব্ধ, ব্যথিত ও মর্মাহত।

কারণ উচ্চতর আদালতে এসেও যদি এদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা আইনানুগ প্রতিকারটি না পায়, তখন আমরা ভাবি ভবিষ্যৎটি কোথায়। আমরা যাবো কোথায়। অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর উস সাদিক বলেন, গত বছর ডিসেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির যে ক্যালেন্ডার আছে, সেখানে সরস্বতী পূজার ছুটি ২৯শে জানুয়ারি বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের ক্যালেন্ডারেও একই কথা বলা হয়েছে। ছুটির তালিকা দেখেই ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন আর ভোটের তারিখ পেছানোর সুযোগ নেই। কেননা, ২রা ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে।
 এর আগে ১২ই জানুয়ারি ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদন আদালতের এখতিয়ারভুক্ত না হওয়ায় কার্যতালিকা থেকে বাদ দেয় হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ। এরপর ওই দিনই রিটকারী আইনজীবী অশোক কুমার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটটি উপস্থাপনের জন্য মেনশন স্লিপ জমা দেন। এরপর আদালত গত ১৩ই জানুয়ারি ও ১৪ই জানুয়ারি দুইদিন শুনানির পর রিট আবেদনটি খারিজ করে আদেশ দেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর