× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আগামীতে দেশে পিয়াজ নিয়ে সংকট হবে না

দেশ বিদেশ

সংসদ রিপোর্টার
১৬ জানুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার

পিয়াজ নিয়ে মানুষের মধ্যে কিছুটা ক্ষোভ ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছিল। বর্তমানে দাম কিছুটা বৃদ্ধি থাকলেও স্থিতিশীল রয়েছে। যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয়, তবে আগামীতে পিয়াজ নিয়ে কোনো সংকট সৃষ্টি হবে না। যদি আমদানি করতেই হয়, তবে আগে থেকেই আমদানির ব্যবস্থা করা হবে। কৃষক যাতে পিয়াজের উৎপাদনের ন্যায্যমূল্যে পায়, স্থানীয় পদ্ধতিতে পিয়াজ সংরক্ষণের নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিনের সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক এ তথ্য জানান। তিনি জানান, দেশে ২৩ থেকে ২৪ লাখ টন পিয়াজ উৎপাদন হয়। কিন্তু চাহিদা রয়েছে ৩০ থেকে ৩২ লাখ টন।
অবশিষ্ট চাহিদা পূরণে পিয়াজ আমদানি করা হয়। গত মৌসুমে অধিক বৃষ্টিপাতের কারণে পিয়াজ নষ্ট হয়ে যায়, ফলে অধিক ঘাটতির সৃষ্টি হয়। পাশ্ববর্তী দেশ ভারত হঠাৎ করে পিয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির কারণে দেশে হু হু করে পিয়াজের দাম বৃদ্ধি পায়, আমরা বাজারে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি। সরকার থেকে দ্রুত চীন, মিশরসহ কয়েকটি দেশ থেকে পিয়াজ আমদানি করে বাজার নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এ প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী আরও জানান, পিয়াজের বিষয়টি সরকার এবার গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে। মাঠ পর্যায়ে নানা প্রণোদনা প্রদানের কারণে অতীতের তুলনায় এবার অধিকহারে পিয়াজ উৎপাদন হবে। এক্ষেত্রে আমরা আমদানি বন্ধ করে দেশের পিয়াজ উৎপাদনকারী কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্যে পায় সে ব্যবস্থা করা হবে। কারণ পিয়াজ পচনশীল। ভরা মৌসুমে কৃষক পিয়াজ খুব অল্পমূল্যে বিক্রি করতে বাধ্য হয়। এতে পিয়াজ উৎপাদনে তারা উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। আগামীতে এটা যেন না হয় সে ব্যাপারে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। জাসদের শিরীন আখতারের সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে ড. আবদুর রাজ্জাক জানান, বাজারে পিয়াজের দাম এখনও কিছুটা বেশি। কিন্তু পিয়াজের দাম ১১০ টাকা কেজি কোনভাবেই থাকবে না, অবশ্যই অনেক কমে আসবে। আমরা যে পদক্ষেপ নিয়েছি, এবার ২৩-২৪ লাখ টনের অনেক বেশি উৎপাদিত হবে, পিয়াজের দাম দ্রুতই কমে আসবে। আর ভারতও পিয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ফলে কোন অসুবিধা হবে না। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আহসানুল হক টিটুর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, পিয়াজ ও পিয়াজ বীজ সংরক্ষণের জন্য কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সংরক্ষণ উপকরণ সরবরাহ করা হচ্ছে। দেশে পিয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে চাহিদা পুরণের লক্ষ্যে কৃষকদের মাঝে উন্নতমানের পিয়াজ বীজ সরবরাহ করা হচ্ছে। আর যেহেতু পিয়াজ দ্রুত পচনশীল পণ্য, তাই কৃষকের সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনাকে উন্নত করা এবং কৃষকদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর