ইউরোপীয় ইউনিয়ন জোটের ২৭ রাষ্ট্রে থাকা প্রায় ১ লাখ বাংলাদেশিকে ফেরানো বিষয়ক চুক্তির অগ্রগতি পর্যালোচনা হয়েছে। অল্টারনেটিভ ভেন্যুতে প্রতি ৬ মাস অন্তর জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের আওতায় অনুষ্ঠিত এবারের পর্যালোচনা বৈঠকটি হয়েছে সেগুনবাগিচায়। এতে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম ইউরোপ ও ইইউ দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক আন্দালিব ইলিয়াস। আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে নেতৃত্বে ছিলেন ইইউ কমিশনের স্বরাষ্ট্র বিষয়ক মহাপরিদপ্তরের পরিচালক মাইকেট শাটার। ঢাকার বৈঠকে উভয় পক্ষ এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে ইউরোপে থাকা অবৈধ বাংলাদেশিদের যাচাই-প্রক্রিয়া হবে এখন থেকে সম্পূর্ণ প্রযুক্তি নির্ভর। ২০১৭-এর ২১শে সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে চুক্তিটি সইয়ের পর থেকে এতদিন প্রথাগত পদ্ধতিতে তাদের যাচাই-বাছাই’র প্রক্রিয়া চলছিলো। বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, ঢাকায় এ নিয়ে পুলিশের জন্য একটি ডাটা সেন্টার স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হচ্ছে, যেন যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়াটি আরও সহজ হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, ইউরোপসহ বিশ্বের কোন দেশেই অবৈধভাবে কোন বাংলাদেশি না থাকুক এটাই চায় সরকার। বিশেষত বৈধতা পাওয়ার আইনি লড়াই শেষে অবশ্যই তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সরকার প্রধানের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। আর এ কারণেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে থাকা অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরাতে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর বা এসওপি সই করা হয়েছে। ওই চুক্তির আওতায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন যেসব ব্যক্তিকে ফিরিয়ে আনার তথ্য দিবে তারা বাংলাদেশি কিনা তা যাচাই-বাছাই হবে। পুরো প্রক্রিয়াটি হবে অনলাইনে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা তথ্য পাঠানোর সফটওয়্যারটি তৈরি করছে বলেও জানানো হয়েছে।