× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভারতের নাগরিকত্ব আইনকে ‘মহৎ’ আখ্যা দিলেন তসলিমা নাসরিন

ভারত

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) জানুয়ারি ১৮, ২০২০, শনিবার, ১:৪২ পূর্বাহ্ন

ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ)-কে ‘মহৎ’ ও ‘খুবই ভালো’ বলে আখ্যায়িত করেছেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। আইনটিতে অন্যান্য নিপীড়িত গোষ্ঠীর তালিকায় মুসলিম, মুক্ত চিন্তাবিদ ও নাস্তিকদের যোগ করার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার কেরালা সাহিত্য উৎসবের এক সেশনে এসব কথা বলেন তিনি। এ খবর দিয়েছে ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই।
কেরালা সাহিত্য উৎসবের দ্বিতীয় দিন ‘এক্সাইল: এ রাইটারস জার্নি’ নামে এক সেশনে বক্তব্য রাখেন তিনি তসলিমা। সেখানে তিনি বলেন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের নিপীড়িত ধর্মীয় জনগোষ্ঠীকে ভারতের নাগরিক্ত দেয়া একটা ভালো উদ্যোগ। কিন্তু আমার মতো মানুষেরাও নাগরিকত্বের দাবিদার। তাদেরও ভারতে থাকার অধিকার রয়েছে। সিএএ একটি অত্যন্ত ভালো ও মহৎ উদ্যোগ।

তিনি আরো বলেন, ইসলামের আরো গণতান্ত্রিকরণ ও শুদ্ধিকরণ উচিৎ।
আমাদের আরো মুক্ত চিন্তাবিদ দরকার। ইউনিফর্ম সিভিল কোড সমতার ভিত্তিতে হওয়া উচিৎ, ধর্মের ভিত্তিতে নয়।
সন্দেহভাজন জঙ্গি হামলায় নিহত বাংলাদেশের নাস্তিক ব্লগারদের উদ্ধৃত করে তিনি আরো বলেন, এসব ব্লগারদের অনেকে প্রাণ বাঁচাতে ইউরোপ ও আমেরিকায় পাড়ি দিয়েছেন। তারা কেন ভারতে আসতে পারবে না? আজ, ভারতের মুসলিম সম্প্রদায় থেকে আরো মুক্ত চিন্তাবিদ, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী, নারীবাদী দরকার।

প্রসঙ্গত, তসলিমা নাসরিক ১৯৯৪ সাল থেকে ভারতে স্বেচ্ছা-নির্বাসনে আছেন। তিনি জানান, মৌলবাদীদের সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভ থেকে দূরে রাখতে হবে। বলেন, মৌলবাদের নিন্দা অবশ্যই করতে হবে। সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু সাম্প্রদায়িক মৌলবাদীরা একইরকম। উভয় পক্ষই নারীদের সমতা ও সমাজের উন্নয়নের বিরোধী।
তসলিমা আরো বলেন, তিনি সবসময় ভারতে নিজের বাড়িতে থাকার অনুভ’তি পান। বলেন, মানুষ আমায় একজন বাংলাদেশি, বিদেশি বলে। তবে আমি এখানে সবসময় বাড়িতে থাকার অনুভ’তিই পাই। যতদিন পারি, আমি ভারতেই থাকবো।

উল্লেখ্য, সিএএ অনুসারে, ভারতের তিন প্রতিবেশী দেশ থেকে ছয়টি সংখ্যালঘু ধর্মীয় জনগোষ্ঠীকে নাগরিকত্ব দেয়া হবে। যদি তারা প্রমাণ করতে পারে যে, তারা ভারতে ২০১৫ সালের আগে এসেছে। তবে ওই সংখ্যালঘুদের মধ্যে মুসলিমরা অন্তর্ভুক্ত নেই।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর