× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রতিবেশী দেশের মুক্তমনাদেরও ভারতের নাগরিকত্ব দেয়া উচিত

এক্সক্লুসিভ

কলকাতা প্রতিনিধি
১৯ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার

ভারতের নতুন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে ‘খুব ভালো’ এবং ‘উদার’ বলে আখ্যায়িত করে বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন প্রতিবেশী দেশের নির্যাতিত মুসলিম সম্প্রদায়, মুক্তমনা এবং নাস্তিকদেরও এই আইনের আওতায় এনে নাগরিকত্ব দেয়ার কথা বলেছেন। তসলিমা আরো বলেছেন, ‘প্রতিবেশী বাংলাদেশ’ পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের নির্যাতিত ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ভারতের নাগরিকত্ব দেয়ার জন্য আইনটি খুবই ভালো। কিন্তু আমার মতো মানুষেরও ভারতের নাগরিকত্ব প্রাপ্য। কেরালা লিটারারি ফেস্টিভ্যালের দ্বিতীয় দিনে; নির্বাসনে এক লেখিকার যাত্রা শীর্ষক আলোচনায় তসলিমা এসব কথা বলেছেন। সেই সঙ্গে তসলিমা ইসলামকে আরো গণতান্ত্রিক ও পরিশুদ্ধ হওয়ার কথা বলেচেন। আমাদের প্রযোজন আরো মুক্তমনা মানুষের। তার আরো মন্তব্য, অভিন্ন সিভিল কোড ধর্মের ওপর না হয়ে হওয়া উচিত সমানাধিকারের ওপরে। কয়েক বছর আগে বাংলাদেশে কট্টরবাদী ইসলামীদের হাতে খুন হওয়া নাস্তি ব্লগারদের উল্লেখ করে তসলিমা বলেছেন, এই ব্লগারদের অনেকেই ইউরোপ ও আমেরিকায় চলে গিয়েছেন।
কিন্তু তারা কেন ভারতে আসেন না সেই প্রশ্ন তুলে বলেছেন, ভারতের এখন অনেক বেশি করে মুসলিম সম্প্রদায়ের মুক্তমনা, সেকুলার ও নারীবাদী মানুষের প্রযোজন। তসলিমা বলেছেন, সিএএ বিরোধী আন্দোলন থেকে মৌলবাদীদের বিচ্ছিন্ন করে দেয়া প্রযোজন। তার মতে, মৌলবাদীদের নিন্দা করা উচিত। সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু দুই সম্প্রদায়ের মধ্যেই মৌলবাদীরা একই রকম। এরা উভয়েই উন্নয়নমূলক সমাজ এবং নারীদের সমানাধিকারের বিরোধী। তসলিমা জানিয়েছেন, ভারতকে তিনি নিজের দেশ বলেই মনে করেন। অথচ অনেকেই তাকে বিদেশি বলে অভিহিত করেন। ইসলামি মৌলবাদীদের হুমকির মুখে তসলিমা ১৯৯৪ সাল থেকে বাংলাদেশ ছাড়া। এই সময়ে তিনি বিশ্বেও বিভিন্ন দেশে কাটিয়েছেন। তবে বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন ভারতেই।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর