× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ফতুল্লায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৩

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে
১৯ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পাওনা ৫ হাজার টাকা চাওয়ার অপরাধে আব্দুর রহিম (৩৫) নামে এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফতুল্লার মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকায়। এ ঘটনায় শুক্রবার দিবাগত রাতে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী থানার পাঁচগাঁও এলাকা থেকে ঘটনার মূলহোতা সাদ্দাম হোসেন  আসিফ (২৭) কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আসিফকে সহযোগিতার অভিযোগে মাসদাইর গুদারঘাট ও কাশিপুর এলাকার চরনরসিংপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আসিফের মা রাজিয়া (৫৫) ও খালা সুলতানা বেগম (৫০)কে। এদিকে শনিবার দুপুরে নিহত রহিমের মা রহিমা বেগম বাদী হয়ে আসিফকে প্রধান আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এছাড়াও নষ্ট ফারুকসহ দুইজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আর তিন চারজনকে আসামি করা হয়। নিহত আব্দুর রহিম শরীয়তপুরের জাজিরা থানার মাঝিকান্দির ইমান আলীর ছেলে। তারা সপরিবারে ফতুল্লার মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকার ইলিয়াস সরদারের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করতো।
রহিম ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রির কাজ করতেন। মামলার এজারহার সূত্রে জানা গেছে, মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকার ইমান আলীর ছেলে রহিম ইলেকট্রিকের কাজ করে। সে কিছুদিন আগে আসিফের বাড়িতে ইলেকট্রিকের কাজ করে দেয়া বাবদ ৫ হাজার টাকা পাওনা ছিল। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে রহিম ফতুল্লার মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকায় আসিফকে দেখে পাওনা টাকা চায়। টাকা চাওয়ার কারণে আসিফের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয় রহিমের। একপর্যায়ে আসিফসহ আরো কয়েকজন মিলে রহিমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ী কুপিয়েরক্তাক্ত জখম করে। এসময় রহিম মাটিকে লুটিয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আসলাম হোসসেন জানান, পাওনা টাকা চাওয়ার অপরাধে আসিফসহ কয়েকজন মিলে আব্দুর রহিমকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে মামলা করেছে। মামলার প্রধান আসামি আসিফসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওসি আসলাম আরও বলেন, হত্যার পরপরই রক্তমাখা ছুরি ধুয়ে দিয়ে তার আসিফের মা রাজিয়া তাকে সাহায্য করে আর খালা তাকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। মামলার অন্যান্য আসামিদেরকেও গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে অন্যদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর