সফল ব্যাটসম্যানের তালিকায় অল্পের জন্য শীর্ষ স্থান হারালেন মুশফিকুর রহীম। আর ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল) টানা দ্বিতীয়বার সর্বাধিক রান সংগ্রাহকের কৃতিত্ব দেখালেন রাইলি রুশো। বঙ্গবন্ধু বিপিএলে খুলনা টাইগার্সের প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান রাইলি রুশোর সংগ্রহ সর্বাধিক ৪৯৫ রান। একই দলের মুশফিকুর রহীমের সংগ্রহ ৪৯১। বিপিএলের গত আসরে রংপুর রাইডার্সের ব্যাট হাতে ১৪ ম্যাচে সর্বাধিক ৫৫৮ রান করেন দক্ষিণ আফ্রিকার এ তারকা। দ্বিতীয়বারের মতো এমন কীর্তির হাতছানি ছিল মুশফিকের সামনেও। বিপিএলের দ্বিতীয় সংস্করণে সিলেট রয়্যালস দলের হয়ে আসরের সর্বাধিক ৪৪০ রান করেন মুশফিক।
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে উইকেট সংগ্রহে শীর্ষ পাঁচ বোলারের তিন জনই বাংলাদেশি।
আর তালিকার শীর্ষ ছয় বোলারই গতি তারকা। সমান ২০ উইকেট শিকার চার বোলারের। শ্রেয়তর গড় নিয়ে তালিকার শীর্ষে বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। আসরের শুরুর ৮ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়ে শীর্ষে থাকা মেহেদী হাসান রানা আসর শেস করেন ১৮ শিকার নিয়ে।
বঙ্গবন্ধু বিপিএল-এ দেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে লিটন কুমার দাস ৪৫৫, ইমরুল কায়েস ৪৪২, তামিম ইকবাল ৩৯৬, আফিফ হোসেন ৩৭০ মোহাম্মদ নাঈম ৩৫৯, মোহাম্মদ মিঠুন ৩৪৯ ও সৌম্য সরকারের সংগ্রহ ৩৩১ রান। আসরে সেঞ্চুরি পাওয়া একমাত্র বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্তর সংগ্রহ ৩০৮। অন্য দুটি সেঞ্চুরি আসে সিলেট থান্ডারের ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান আন্দ্রে ফ্লেচার ও কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের ইংলিশ তারকা ডেভিড মালানের উইলো থেকে। আসরে সর্বোচ্চ ৪টি করে হাঁফ সেঞ্চুরি রয়েছে রুশো, মুশফিক ও ইমরুল কায়েসের। বল হাতে ইনিংসে পাঁচ উইকেটের ঘটনা চারটি। সেরা বোলিং ফিগার মোহাম্মদ আমিরের। আসরের প্রথম কোয়ালিফায়ারে রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে চার ওভারের ম্যাচজয়ী স্পেলে ১৭ রানের ৬ উইকেট নেন এ পাকিস্তানি পেসার। একবার করে পাঁচ উইকেটের কৃতিত্ব দেখান ঢাকা প্লাটুনের লঙ্কান পেসার থিসারা পেরেরা, পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার ওয়াহাব রিয়াজ ও খুলনা টাইগার্সের প্রোটিয়া গতি তারকা রবি ফ্রাইলিঙ্ক। ফাইনালে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ১৭০/৪ সংগ্রহ নিয়ে ২১ রানে জয় কুড়ায় রাজশাহী রয়্যালস। শেষ দিকে ১৬ বলে তিন ছক্কায় হার না মানা ২৭ রানের ইনিংস খেলেন আন্দ্রে রাসেল। পরে বল হাতে চার ওভারের স্পেলে ৩২ রানে দুই উইকেট নেন এ ক্যারিবীয় পেসার। এতে ফাইনালের ম্যাচ সেরা পুরস্কার ওঠে রাজশাহী রয়্যালস অধিনায়ক রাসেলের হাতে। ব্যাটে-বলে চৌকস নৈপুণ্য ও বুদ্ধিদীপ্ত অধিনায়কত্বের জন্য আসর সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হন আন্দ্রে রাসেল। বঙ্গবন্ধু বিপিএলে ১৩ ম্যাচে ৫৬.২৫ গড়ে রাসেলের সংগ্রহ ২২৫ রান। স্ট্রাইকরেট ১৮০.০০। আসরে বল হাতে শিকার ১৪ উইকেট। সেরা বোলিং ৪/১৭।
সর্বাধিক রানখেলোয়াড় ম্যাচ রান সর্বোচ্চ স্ট্রাইক
রাইলি রুশো (খুলনা) ১৪ ৪৯৫ ৭১* ১৫৫.১৭
মুশফিকুর রহীম (খুলনা) ১৪ ৪৯১ ৯৮* ১৪৭.০০
লিটন কুমার দাস (রাজশাহী) ১৫ ৪৫৫ ৭৫ ১৩৪.২১
শোয়েব মালিক (রাজশাহী) ১৫ ৪৫৫ ৮৭ ১৩০.০০
ডেভিড মালান (কুমিল্লা) ১১ ৪৪৪ ১০০* ১৪৫.০৯
সর্বাধিক উইকেটখেলোয়াড় ম্যাচ উই. সেরা ইকো.
মোস্তাফিজুর রহমান (ঢাকা) ১২ ২০ ৩/১০ ৭.০১
মোহাম্মদ আমির (খুলনা) ১৩ ২০ ৬/১৭ ৭.০৫
রুবেল হোসেন (চট্টগ্রাম) ১৩ ২০ ৩/১৭ ৭.৩১
রবি ফ্রাইলিঙ্ক (খুলনা) ১৪ ২০ ৫/১৬ ৭.৩৯
শহীদুল ইসলাম (খুলনা) ১৩ ১৯ ৪/২৩ ৮.০৮
রেকর্ডদলীয় সর্বোচ্চ: ২৩৮/৮ চট্টগ্রাম প্রতিপক্ষ কুমিল্লা
সর্বোচ্চ এগ্রিগেট: ৪৬০ চট্টগ্রাম (২৩৮) কুমিল্লা (২২২)
বড় ব্যবধানে জয়: ১০৫ রান কুমিল্লা প্রতিপক্ষ রংপুর
ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ: ১১৫* নাজমুল শান্ত (খুলনা-ঢাকা)
সর্বাধিক ছক্কা: রুশো ২৩, ইমরুল ২২, রাসেল ২১
ইনিংসে সর্বাধিক ছক্কা: ৯ দাসুন শানাকা (কুমিল্লা-রংপুর)
সেরা বোলিং: ৬/১৭ মোহাম্মদ আমির (খুলনা-রাজশাহী)
খরুচে বোলিং: ৪.০-০-৬০-২ নাসির (চট্টগ্রাম-ঢাকা)
সর্বাধিক ডিসমিসাল: ১৫ নুরুল হাসান (১৩ ক্যাচ, ৩ স্টাম্পিং)
সর্বাধিক ক্যাচ: ১৩ রাইলি রুশো
সর্বোচ্চ জুটি: ১৬৮* মিরাজ-মুশফিক (খুলনা-কুমিল্লা)