সুদখোরদের ফাঁদে পড়ে অনেকেই আজ নিঃস্ব। অনেকে হয়েছেন ভিটেমাটি ছাড়া। অনেকেই আবার সুদখোরদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। নানা আতঙ্কে ভুক্তভোগীরা প্রকাশ্যে কথা বলতে পারছেন না। কুলাউড়া উপজেলার ২৮ জন সুদখোরদের নাম ঠিকানা উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি বরাবর আবেদন করেছেন মুহিত মিয়া নামক এক ব্যক্তি। সেই আবেদনের কপি প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর ছাড়াও কুলাউড়ার গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। জানা যায়, সরকারকে ফাঁকি দিয়ে চড়াসুদে কারবারি, অনুমোদনহীন এনজিও, সমবায় সমিতি ও সরকার অনুমোদিত ব্যাংকিং সিস্টেম ছাড়া পরিচালিত প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠান পরিচালনাকারীরা সুদখোরের আওতায় পড়বে। ইতিমধ্যে সুদখোরদের তালিকা প্রস্তুত শুরু হয়েছে এবং দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সুদখোরদের ধরতে মাঠে নামছে প্রশাসন।
পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের নির্দেশনায় ইতিমধ্যে কাজও শুরু হয়েছে। ডিআইজি বরাবরে প্রেরিত আবেদনে মুহিত মিয়া উল্লেখ করেন, ‘তালিকাভুক্ত সুদখোররা কুলাউড়ার নিরীহ, অসহায় জনগণকে ভিটেমাটি ছাড়া করছে। অনেকেই সুদখোরদের ভয়ে বাড়িঘর ছাড়া। এসব সুদখোরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করিলে কুলাউড়াবাসী উপকৃত হবে। মুহিত মিয়ার এই আবেদনের সঙ্গে কুলাউড়া উপজেলার ২৮ জন সুদখোরের নাম-ঠিকানা এবং কয়েকটি পত্রিকার প্রিন্ট কপি সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) সাদেক কাওসার দস্তগির জানান, অফিসিয়ালি এরকম আবেদনের কপি আমাদের কাছে এখনো আসেনি। কপি পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।