শ্রীনগরে বিনামূল্যে চক্ষুশিবিরের নামে রমরমা বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। বাণিজ্যকে বাধাহীন করার জন্য আয়োজকরা উপজেলা প্রশাসন বা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছ থেকে কোন অনুমোদন নেননি। গতকাল বেলা ১১টার দিকে উপজেলার আটপাড়া বেলতলী জি,জে উচ্চবিদ্যালয়ে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিনামূল্যে চক্ষু শিবিরের ঘোষণায় প্রায় দেড় হাজার লোক জড়ো হন। নারী পুরুষের দীর্ঘ লাইনকে কাজে লাগিয়ে আয়োজকরা বাণিজ্যের ফাঁদে ফেলছেন। এপ্রোন বিহীন চিকিৎসকরা কোন যন্ত্রপাতি ছাড়াই ৩০ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিট সময়ের মধ্যে শুধু টর্চলাইল দিয়ে রোগীদের চক্ষু দেখেই তাদেরকে ১০০ থেকে ২০০ পাওয়ারের চশমা ধরিয়ে দিচ্ছেন। আর চোখের ছানি অপারেশনের ও ল্যান্স সংযোগের কথা বলে রোগীদের সাথে মোটা অঙ্কের কন্ট্রাক্ট করছেন। কন্ট্রাক্টের রোগীদের জানিয়ে দিচ্ছেন আপারেশন ও ল্যান্স সংযোগ করা হবে তাদের নিজস্ব একটি হাসপাতালে। সিংপাড়া চক্ষু কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত চক্ষু শিবিরটিকে জনহিতকর কাজ বলে আখ্যাহিত করে ওই এলাকার কিছু টাউট বাটপার বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবকদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ চাঁদা তুলেছেন বলে একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন।
আয়োজক কমিটির সদস্য দুলাল মেম্বার বলেন, আমরা কোন অনুমোদন নেইনি। এটি একটি সামাজিক কাজ। ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতা নুরুজ্জামান শিকদার সহ বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে চাঁদা তুলে কাজটি সম্পাদন করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সৈয়দ রেজাউল ইসলাম বলেন, এই বিষয়ে কেউ আমার কাছ থেকে অনুমোদন নেয়নি। অনুমোদন বিহীন কোন ম্যাডিকেল ক্যাম্প বা চক্ষু শিবির কেউ করতে পারেনা। শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমিও জানি না। এই ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।