বাংলাদেশ রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহম্মদ সানোয়ার হোসেন বলেছেন, আমাদের দেশে দুর্ঘটনার একটি বড় কারণ হচ্ছে ক্রটিপূর্ণ রাস্তাঘাট এবং অদক্ষ চালক। আমাদের গাড়ি চালকরা গাড়ি চালাতে পারেন, কিন্তু তারা প্রকৃত চালক নন। তারা ড্রাইভিং সর্ম্পকে মারাত্মকভাবে অসচেতন। মানবতা সর্ম্পকে, মানুষের জীবন সর্ম্পকে তাদের নূন্যতম দায়িত্বজ্ঞান থাকে না। এসব চালকরা মালিকদের প্ররোচনায় একাধিক ট্রিপ মারার জন্য অনিয়ন্ত্রিত গাড়ি চালায়। এজন্য সড়কে দুর্ঘটনা বেড়ে গেছে।
তিনি বলেন, আমাদের মহাসড়কগুলোতে একইসঙ্গে ধীরগতি এবং দ্রুতগতির গাড়ি চলাচল করে। সব সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করার কথা নয়।
সড়ক উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময় রাজনৈতিকভাবে নিয়ন্ত্রিত হওয়ার ফলে যে রাস্তায় সিএনজি চলার কথা না সেখানে সিএনজি চলছে। অটোরিকশা, নসিমন, ভটভটি চলছে মহাসড়কগুলোতে। সরকার কোনোভাবে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। সরকারি যেসব ব্যবস্থাপনা কমিটি আছে, তারা এদিকে নজর দেয় না অথবা স্থানীয় যে রাজনৈতিক নেতারা আছেন, তাদের কাছে এরা জিম্মি। এ কারণে কোনো ফলাফল নিয়ে আসতে পারে না। ফলে দুর্ঘটনা বেড়ে গেছে।
আমরা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছি মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনায় যে ক্ষতি হয়, তা কখনও পূরণ হয় না। পুষিয়ে নিতে হয়। গত শুক্রবার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এক দুর্ঘটনায় চার বছর বয়সী এক শিশু তার বাবা-মাকে হারিয়েছে। এ ক্ষতি তার কোন কিছু দিয়ে পূরণ হবে না। এ ধরনের দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে। এজন্য সকারের একটা ফা- থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। যেটা আমাদের দেশে নেই। সানোয়ার বলেন, শিশুটির লেখাপড়া, বাসস্থানের দায়িত্ব সরকার নিলে কিছুটা হলেও তার ক্ষতি পুষিয়ে দেয়া যাবে। যদিও ক্ষতিপূরণ দুর্ঘটনার কোন সমাধান নয়। আমরা যদি সচেতন না হই, তাহলে দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব নয়।