× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সিএএ: বিক্ষোভকারীদের খাবার, কম্বল কেড়ে নেয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) জানুয়ারি ১৯, ২০২০, রবিবার, ২:১১ পূর্বাহ্ন

ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে চলমান বিক্ষোভে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। উত্তর প্রদেশের লখনৌতে বিক্ষোভকারীদের খাবার ও কম্বল কেড়ে নেয়ার অভিযোগ ওঠেছে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে। শনিবার জেলাটির বিখ্যাত ঘণ্টাঘরের কাছে বিক্ষোভের সময় এ ঘটনা ঘটে। এ খবর দিয়েছে এনডিটিভি।

খবরে বলা হয়, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে লখনৌতে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীদের মোবাইলে তোলা ছবিতে দেখা যায়, শনিবার বিক্ষোভকারীদের খাবারের প্যাকেট ও কম্বল সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। এমনকী বিক্ষোভকারীরা রাতে বসার জন্য নিয়ে আসা প্লাস্টিকের শিটও সরিয়ে নিয়েছে হেলমেট পরিহিত পুলিশ। তবে পুলিশ এমন কার্যকলাপের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কেবল কম্বল সরানোর অভিযোগ স্বীকার করেছে।
পাশাপাশি গুজব না ছড়াতে আহ্বান জানিয়েছে।

এনডিটিভি জানায়, শুক্রবার প্রায় পঞ্চাশ জন নারী ঘণ্টাঘরের কাছে সিএএ’র বিরুদ্ধে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বিক্ষোভ শুরু করেন। জানান, আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত এই প্রতিবাদ চলবে। শনিবার তাদের সঙ্গে যোগ দেন আর নারী ও শিশুরা।
শনিবার তোলা এক মোবাইল ফোন ভিডিওতে দেখা যায়, এক নারী প্রতিবাদী কয়েকজন পুলিশের দিকে ছুটে গিয়ে প্রশ্ন করছেন, কেন তাদের কম্বল তুলে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ? মহিলা ও শিশুদের জন্য খাবার ও কম্বল নিয়ে আসা এক শিখ ব্যক্তি বলেন, কিছু পুলিশ আমাদের থামাতে চাইছে। কিন্তু বাকিরা সমর্থন করছে। এটা সাধারণ মানবিকতা এবং তাই আমরা এখানে।

এ ঘটনা নিয়ে স্থানীয় পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, ওই প্রতিবাদীরা কোনও অনুমতি ছাড়াই তাঁবু খাটানোর চেষ্টা করছিল। অনেকে সেখানে কম্বল বিতরণ করছিল। ফলে বিক্ষোভকারী ছাড়াও অনেকে জড়ো হয়েছিল। তারা কেবল কম্বল নিতে এসেছিল। বহিরাগতদের ভিড় সরাতেই তারা কম্বল সরিয়ে নেয়।

প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরে ভারতে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ চলছে। এই আইন অনুসারে, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালের আগে আগত ছয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে তাতে বাদ পড়েছে মুসলিমরা। সমালোচকদের মতে, এই আইন বৈষম্যমূলক ও ভারতীয় সংবিধান পরিপন্থী।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর