× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সমালোচনা সব পাঁচ ব্যক্তির ওপর

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২০ জানুয়ারি ২০২০, সোমবার

নির্বাচন এমন একটা জিনিস, পত্রপত্রিকা দেখলে মনে হবে শুধুমাত্র পাঁচজন নির্বাচন কমিশনারই এটি পরিচালনা করেন। তাই যত গালিগালাজ আছে, যত সমালোচনা আছে সবকিছু  যেন এই পাঁচ ব্যক্তির ওপর। কিন্তু নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ রয়েছে। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে এ মন্তব্য করেন নির্বাচন কমিশনার মো.রফিকুল ইসলাম। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে এক বৈঠকে নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন। রফিকুল ইসলাম বলেন, আসলে নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা করার পর থেকে আসল দায়িত্বটা পালন করেন কিন্তু আপনারা (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী)। আচরণবিধি বাস্তবায়নের কাজটাও আপনারাই করেন। আপনাদের ব্যর্থতাই আমাদের ব্যর্থতা।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট’রা আচরণ বিধিমালাকে বাস্তবায়ন করার জন্য আইনের দিকটা বাস্তবায়ন করেন। আপনাদের ব্যর্থতা সম্পূর্ণভাবে আমাদের ওপর দিয়ে যায়।

কমিশনকেই অভিযুক্ত করা হয়। আপনাদের সাহায্য-সহযোগিতা ছাড়া আইনানুগ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা সম্ভব না। আপনারা নিজেদের আইনের শাসক না মনে করে সেবক মনে করে কাজ করবেন। প্রার্থীদের নিয়ন্ত্রণের নয় সেবার মনোভব নিয়ে কাজ করবেন। আচরণ বিধিমালাকে প্রয়োগ করার জন্য শাস্তি, জরিমানা করার চাইতে প্রিভেন্টিভ ম্যাজারটা (প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা) নেন। অর্থাৎ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ কর্মকর্তা যদি একটু একসঙ্গে মুভ (চলেন) করেন, তাহলেই (আচরণবিধি ভঙ্গ) থাকবে না বলেও মনে করেন এই কমিশনার। রফিকুল ইসলাম বলেন, তাহলে নির্বাচনে আচরণবিধির ভঙ্গের পরিমাণ অনেকখানি কমে যাবে। শুধু এজন্য আপনাদের কাছে চাই আন্তরিকতা, আপনাদের ভিজিল্যান্স (দৃশ্যমানতা)।

দেখবেন কেউ একজন, এই বিষয়টা প্রার্থীদের মাথার মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে পারলে অনেক সমস্যা কমে যাবে। অবস্থান দৃশ্যমান করতে পারলে ৫০ শতাংশ আচরণবিধি প্রতিপালনের কাজ হয়ে যাবে। তারপরও কিছু লোক আচরণবিধি ভঙ্গ করবে। আর তাদেরকে নির্বাচনি আচরণ বিধিমালা দিয়েই শাস্তির ব্যবস্থা করবেন। রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা যখন আইন করি, তখন একটা আদর্শ পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে আইনের খসড়া তৈরি করি। কিন্তু বাংলাদেশের সব জায়গায় সবসময় আইনের পরিবেশ থাকবে, এটা আপনারা বিশ্বাস করেন। আমি বিশ্বাস করি, আইনের সিচুয়েশন (পরিবেশ) সবজায়গায় সমান পাওয়া যাবে না। এসব ক্ষেত্রে জুডিশিয়াল মাইন্ড (বিচারিক মন) প্রয়োগ করে বিচারের আহ্বান জানান তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর