× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

গ্রেপ্তার-হয়রানি না করার নির্দেশ /প্রথম আলো সম্পাদকসহ ৬ জনের জামিন শুনানি আজ

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২০ জানুয়ারি ২০২০, সোমবার

ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র নাইমুল আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হকসহ ছয়জনের জামিন আবেদনের শুনানি আজ সোমবার। এ সময়ের মধ্যে হাইকোর্ট তাদেরকে গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করার নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এম আমির-উল-ইসলাম। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আদালত প্রথম আলো সম্পাদকসহ ছয়জনকে হয়রানি ও গ্রেপ্তার না করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। এ সময় তিনি নিম্ন আদালতের এমন নির্দেশনা বেআইনি উল্লেখ করে বলেন, ঘটনার সময় তারা কেউই ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। নিহত নাইমুলের পিতা থানার ওসিকে চিঠি দিয়ে বলেছেন, এই দুর্ঘটনায় তারা কোনো মামলা করবেন না।

তারপরও এ ঘটনায় একটা প্রসিকিউসন হয়েছে এবং সেই প্রসিকিউসনে আমরা যে ধরনের ইন্সট্রাকসন (গ্রেপ্তারি পরোয়ানা) পেয়েছি, তাতে এটা আমাদের কাছে ম্যালাফাইডি প্রসিকিউশন বলে মনে হয়েছে।
জামিনযোগ্য ধারা হওয়া সত্বেও নিম্ন আদালতে না গিয়ে উচ্চ আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন কেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার আমির বলেন, আমাদের কাছে মনে হয়েছে, এখানে একটা আইনের ভঙ্গ হয়েছে। নিম্ন আদালত বেআইনিভাবে কাজটা (পরোয়ানা জারি) করে তাদের (ছয়জন) ব্যক্তিস্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করেছেন। সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে গ্যারান্টিড রাইটগুলোর মধ্যে হস্তক্ষেপ করেছে এ নির্দেশনা। তাই তারা উচ্চ আদালতে এসেছেন।

এর আগে জামিন নিতে ব্যারিস্টার এম আমির-উল-ইসলামের চেম্বারে আসেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হকসহ ছয় জন। দুপুর আড়াইটার দিকে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে জামিন আবেদন দাখিল করেন ব্যারিস্টার আমির উল ইসলাম। এরপর আদালত শুনানির জন্য বিকেল সাড়ে ৩টায় সময় নির্ধারণ করেন। নির্ধারিত সময়ের আগেই জামিন শুনানির সময় আদালতে হাজির হন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক, কিশোর আলোর জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক মহিতুল আলম, প্রথম আলোর হেড অব ইভেন্ট অ্যান্ড অ্যাকটিভেশন কবির বকুল, নির্বাহী শাহ পরান তুষার ও নির্বাহী শুভাশীষ প্রামাণিক। এ সময় আমির ইল ইসলাম শুনানিতে আসামিদের জামিন চান। আদালত সময় সল্পতার কারণে শুনানির জন্য সোমবার দিন নির্ধারন করেন। একইসঙ্গে এই সময়ের মধ্যে তাদের নট টু অ্যারেস্ট, নট টু হ্যারেজ আদেশ দেন।

গত বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মোহাম্মাদপুর থানা পুলিশ প্রথম আলোর সম্পাদকসহ ১০ জনের নামে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। এরপর বাদীপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ১০ জনের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। প্রথম আলোর পরোয়ানা প্রাপ্তরা হলেন, সম্পাদক মতিউর রহমান, সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক, কিশোর আলোর জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক মহিতুল আলম, প্রথম আলোর হেড অব ইভেন্ট অ্যান্ড অ্যাকটিভেশন কবির বকুল, নির্বাহী শাহ পরাণ তুষার ও নির্বাহী শুভাশীষ প্রামাণিক। এছাড়া, ডেকোরেশন ও জেনারেটর সরবরাহকারী জসীম উদ্দিন, মোশাররফ হোসেন, সুজন ও কামরুল হাওলাদার।

গত বছরের ১লা নভেম্বর প্রথম আলোর ম্যাগাজিন কিশোর আলো’র বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যায় ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী নাইমুল আবরার (১৫)। ঘটনার পরের দিন প্রথমে মোহাম্মদপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেন আবরারের বাবা মজিবুর রহমান।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর