ঝালকাঠির নলছিটিতে বৌভাতের অনুষ্ঠানের খাবার খেয়ে প্রায় ২৫০ জন মানুষ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরেছেন। গত রোববার দুপুরে উপজেলার ভৈরবপাশা ইউনিয়নের প্রতাপ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর অসুস্থ হওয়াদের বারিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপতালে এবং অন্য রোগীদের ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল ও নলছিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি করা হয়ছে।
অসুস্থ সবার বাড়ি প্রতাপ গ্রামে। দুপক্ষের স্বজনরা জানান , অনেক শিশু অনুষ্ঠানের খাবার খেয়ে বেশি অসুস্থ হয়ে পরে। এমনকি বর-কনেও খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পরেছেন। চিকিৎসকদের ধারণা খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে এত মানুষ অসুস্থ হয়ে পরেছেন।
কণের চাচাতো বোন হ্যাপি বেগম জানান, গত শুক্রবার দুপুরে ভৈরবপাশা ইউনিয়নের প্রতাপ গ্রামের মোফাজ্জেল আলী হাওলাদারের মেয়ে সাবিনা বেগম (১৮) এর সঙ্গে একই গ্রামে মৃত আজাহার আলী হাওলদারের ছেলে ব্যবসায়ী নজরুল হাওলাদারের (৩০) সঙ্গে বিবাহ সম্পন্ন হয়। গতকাল রোবাবার দুপুরে বর নজরুলের বাড়িতে বিবাহ পরবর্তী বৌভাতের আয়োজন করেন। এতে প্রায় তিন শতাধিক মানুষের দাওয়াত ছিল।
অনুষ্ঠানে আগত মেহমানরা দুপুরে খাবার খেয়ে বাড়ি ফিরে বিকেলের দিকে অসুস্থ হতে শুরু করেন। এলাকাবাসি ও স্বজনরা যাকে যেভাবে পেরেছে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল ও নলছিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি করেন। গুরুতর অসুস্থদের বারিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপতালে ভর্তি করেন।
এদের সবাই বমি ও পায়খানা করনে। ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসক ও সেবিকারা রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেয়ে যায়।
মেয়ের চাচা মোাবারেক আলী হাওলাদার বলেন, বিয়ের অনুষ্ঠানে মুরগীর রোষ্ট, গরুর মাংস, পোলাউ , ফিন্নিসহ আরো কিছু আইটেম ছিল। আমি গরুর মাংস খাইনি তাই অসুস্থ হইনি। যারা গরুর মাংস খায়নি তারাই সুস্থ আছে। হয়ত গরুর মাংসে বিষক্রিয়া ছিল।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের চিকিৎসক সিয়াম আহসান জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে অনুষ্ঠানের খাবার খেয়ে এত মানুষ অসুস্থ হয়ে পরেছে।
ঝালকাঠি সদর থানার ওসি মো খলিলুর রহমান জানান, আমার বিষয়টি জানতে পেরে হাসপাতালে খোঁজ নিয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।