× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আলিয়ার মায়ের বিস্ফোরক অভিযোগ / বলির পাঁঠা বানানো হয়েছে আফজাল গুরুকে, তদন্তের আহ্বান

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) জানুয়ারি ২১, ২০২০, মঙ্গলবার, ২:০৯ পূর্বাহ্ন

বিতর্কিত মন্তব্য করে তীব্র সমালোচনা সৃষ্টি করেছেন বলিউডের এ সময়ের হার্টথ্রব নায়িকা আলিয়া ভাটের মা সোনি রাজদান। ভারতের পার্লামেন্টে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর দায়ে অভিযুক্ত আফজাল গুরুকে ফাঁসি দেয়ার বৈধতা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। বলেছেন, আফজাল গুরুকে বলির পাঁঠা বানানো হয়েছে। তিনি এ ঘটনায় তদন্ত দাবি করে বলেন, এটা হলো হাস্যকর এক বিচার। এ খবর দিয়ে অনলাইন জি নিউজ বলছে, সোনি রাজদান নিজেও একজন অভিনেত্রী। তিনি মঙ্গলবার আফজাল গুরুর ফাঁসি নিয়ে ওই মন্তব্য করেন টুইটারে। এ সময় তিনি বলে, যদি ওই মানুষটি নিরপরাধ প্রমাণিত হন তাহলে কে তাকে মৃত অবস্থা থেকে জীবন ফেরত দিতে পারে? এ জন্যই মৃত্যুদণ্ডকে খুব হালকাভাবে ব্যবহার করা উচিত নয়। আফজাল গুরুকে কেন বলির পাঁঠা বানানো হয়েছে তার নিরেট তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।

সোনি রাজদান টুইটে আরও প্রশ্ন রাখেন, আফজাল গুরু একটি চিঠিতে জানিয়েছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের ডিজিপি দেবিন্দর সিং তাকে বাধ্য করেছিলেন কাশ্মীর থেকে দিল্লি পর্যন্ত সন্ত্রাসীদের নিয়ে যেতে।
কেন সেই দেবিন্দর সিংয়ের বিরুদ্ধে তখন তদন্ত করা হয় নি এ বিষয়টিরও তদন্ত করা উচিত। ওই চিঠিতে আফজাল গুরু আরো বলেছিল, পার্লামেন্টে যারা হামলা করেছিল, সেইসব সন্ত্রাসীও দেবিন্দর সিংকে চিনতো। আফজালের মতো ব্যক্তিদের কিভাবে নির্যাতন করা হতো, সে বিষয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। অপরাধমুলক কর্মকান্ড চালানোর জন্য সন্ত্রাসীদের নিয়ে যেতে তাকে বা তাদেরকে যারা বাধ্য করতো এবং শেষ পর্যন্ত তাকেই মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়- এসব বিষয়ে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলে টুইটে লিখেছেন রাজদান।

এখানে উল্লেখ্য, দেবিন্দর সিংকে গত ১১ই জানুয়ারি জঙ্গি গোষ্ঠী হিজবুল মুজাহিদিনের সন্ত্রাসী নাভিদ বাবু, তার সহকর্মী রাফি আহমেদ এবং ইরফান নামে একজন আইনজীবি সহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি বর্তমানে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট মেডেল পাওয়া এই পুলিশ কর্মকর্তাকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার জন্য জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ শিগগিরই জিজ্ঞাসাবাদ করবে।

১৮ই জানুয়ারি গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলেছেন, ২০০৫ সালে দিল্লি পুলিশ কয়েকজন সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে। এ থেকে প্রকাশ পায় যে, পুলিশের বড় কর্মকর্তা দেবিন্দর সিংয়ের সঙ্গে তাদের রয়েছে গোপন আঁতাত। এরপরই ২০০৫ সালের একটি ঘটনার সঙ্গে তাকে জড়িত করে সূত্রগুলো। ওই সময় দিল্লি পুলিশ একে-৪৭ ও বিপুল সংখ্যক ভুয়া মুদ্রাসহ গ্রেপ্তার করে ৭ সন্ত্রাসীকে। তারা হিজবুল মুজাহিদিনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে ধারণা করা হয়। গ্রেপ্তার করা ওইসব ব্যক্তির মধ্যে অন্যতম হাজী গোলাম মঈনুদ্দিন দার ওরফে জাহিদ। তার কাছে ছিল গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্ট। এটি তাকে দিয়েছিলেন দেবিন্দর সিং। ওই ডকুমেন্টে বলা হয়েছে যে, গোলাম মঈনুদ্দিন পুলওয়ামার একজন বাসিন্দা। তিনি সব সময় একটি পিস্তাল ও একটি ওয়্যারলেস সেট সঙ্গে রাখেন। তাকে যেকোনো পরিস্থিতিতে ছেড়ে দিতে হবে। এই ডকুমেন্ট লিখেছিলেন দেবিন্দর সিং। এতে স্বাক্ষরও রয়েছে তার।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর