× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বরগুনায় সড়কে দেয়াল নির্মাণ অবরুদ্ধ ৩ পরিবার

বাংলারজমিন

বরগুনা প্রতিনিধি
২২ জানুয়ারি ২০২০, বুধবার

বরগুনায় চলাচলের জন্য নির্মিত সড়কে দেয়াল তুলে বন্ধ করে দেয়াতে তিন পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। ১৯শে জানুয়ারি গণপূর্ত বিভাগের পক্ষ থেকে এই সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগীরা জানান, বেশ কয়েক বছর আগে পৌরসভার পক্ষ থেকে ওই সড়কটি হেরিংবোন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। এরপর সমপ্রতি মেয়রের অনুমতি নিয়ে তারা এই সড়কটি পাকা করেছেন। কিন্তু গণপূর্ত বিভাগ সড়কের দুদিকে দেয়াল তুলে দিয়েছেন। চলাচলের জন্য বিকল্প কোনো পথ না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন এই রাস্তার চলাচলকারী জনসাধারন।
ভুক্তভোগী আবদুল খালেক জানান, ২৭ বছর ধরে এই পথ দিয়ে যাতায়াত করা হয়। মেয়রের অনুমতি নিয়ে এই সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এখন গণপূর্তের লোকজন সড়কের দুই পাশে দেয়াল তুলে দিয়েছেন।
বরগুনার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সুলতান আলী সড়কে তার (আবদুল খালেক) বাড়ির সঙ্গে যাতায়াতের সুবিধার্থে ২০০৪ সালে পৌর চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান মিয়া গণপূর্ত বিভাগের পরিত্যক্ত এক জলাশয়ের মাঝ দিয়ে ইট দিয়ে হেরিংবোন রাস্তা নির্মাণ করে দেন।

২০১০ সালে দরপত্র বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রাস্তাটি সিসি দ্বারা নির্মাণ করা হয়।
এরপর ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে সড়কটির পাইলিং (প্যালাসাইডিং) কাজ করানো হয়। বরগুনা পৌরসভার বর্তমান মেয়র শাহাদাত হোসেনের মৌখিক অনুমোদন নিয়ে আরসিসি করান ওই তিন পরিবার।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের বরগুনা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানান, যেখানে ওই সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে সেটা গণপূর্ত বিভাগের জমি। গণপূর্ত বিভাগের কোনো অনুমতি না নিয়ে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ এই সড়ক নির্মাণ করেছে। যে কারণে জমি উদ্ধার করে তা সংরক্ষণের জন্য সড়কের দুই মাথায় দেয়াল তুলে দেয়া হয়েছে। বরগুনা সরকারি মহিলা কলেজের সহকারি অধ্যাপক খালেদা জান্নাতী বলেন, এমনভাবে দেয়াল তুলে দেওয়া হয়েছে তাতে আমাদের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এখানে বিকল্প কোনো সড়কও নেই যে, যা দিয়ে চলাচল করবো।
বরগুনা পৌর মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, সকল পৌর নাগরিকের চলার পথ করে দিতে হবে। এভাবে পথ আটকানোটা ঠিক হয়নি। আমি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে দেখা করবো।

এ বিষয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের বরগুনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মাজিদার রহমান বলেন, আমাদের জমি দখল করে সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশে তা দখল মুক্ত করে আমরা দেয়াল তুলে দিয়েছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর