× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শ্রীমঙ্গলে শ্রমিক ইউনিয়নে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি

বাংলারজমিন

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি
২২ জানুয়ারি ২০২০, বুধবার

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে উপজেলা ট্রাক, ট্যাংকলরি, কাভার্ডভ্যান পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি নং-২৪০৩) কার্যালয়ে হামলায় জড়িতদের আগামী তিন দিনের মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ২৩শে জানুয়ারি থেকে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতির আল্টিমেটাম দিয়েছে। সোমবার দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত আবেদন করেন জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের কার্যকরী সভাপতি পাবেল আহমদ, সদস্য সচিব আজাদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ছালেহ আহমদ। এতে উল্লেখ করেন, ইদানীং জেলার পরিবহন সেক্টরের শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করে সড়ক পরিবহন শ্রমিকলীগ নাম দিয়ে চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দখলবাজ, ডাকাতি ও র‌্যাবের অস্ত্র ছিনতাইকারী আসামি কামালের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী শ্রীমঙ্গলস্থ ট্রাক স্ট্যান্ডে গিয়ে ট্রাক শ্রমিকদের ওপর অবৈধভাবে চাঁদা দাবি করে। উপস্থিত ট্রাক শ্রমিকরা বাধা দিলে শ্রীমঙ্গল ভানুগাছ রোডস্থ মৌলভীবাজার জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরি, কভার্ডভ্যান পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখা কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এতে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়। পরবর্তীতে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মৌলভীবাজার জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরি, কাভার্ডভ্যান, শ্রমিক ইউনিয়ন শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখা কার্যালয়ের পক্ষে থানায় মামলা দেয়ার পরও অদ্যাবধি মামলাটি আমলে নেয়া হয়নি।
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করারও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মৌলভীবাজার জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজমান। এমতাবস্থায় আগামী ২২শে জানুয়ারির মধ্যে শ্রীমঙ্গল থানার মামলা আমলে নিয়ে সন্ত্রাসী হামলাকারীদের জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় ২৩শে জানুয়ারি  ভোর ৬টা হতে মৌলভীবাজার জেলায় ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করা হবে এবং তাতে যদি কোনো প্রকার অবনতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় আমরা দায়ী থাকবে না স্মারকলিপিতে বলা হয়।
 
জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া আহমেদ জানান, ‘কামাল নামের কেউ শ্রমিকলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। এমনকি পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়ে শ্রমিকলীগের কেউ হামলা চালায়নি।
ট্রাক, ট্যাংকলরি ও কাভার্ডভ্যান চালক শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি-চট্ট-২৪০৩) শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান জানান, গত ২রা জানুয়ারি বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে প্রতিপক্ষ একটি সংগঠনের ড্রাইভার কামালের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একদল সন্ত্রাসী নিয়ে পরিবহন কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে। এতে লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
তিনি বলেন, ড্রাইভার কামাল বিগত কিছুদিন ধরে সংগঠনের বিরুদ্ধে নানা অপতৎপরতা চালিয়ে আসছিল। ইদানীং বিএনপির রং পাল্টিয়ে সড়ক পরিহন শ্রমিকলীগের নাম ভাঙিয়ে সাধারণ ড্রাইভারদের কাছে চাঁদা চায়। তার এহেন কর্মকাণ্ডে সাধারণ শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ। সে একজন চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী। র‌্যাবের অস্ত্র পর্যন্ত সে কেড়ে নিয়েছিল। তার সম্পর্কে প্রশাসনসহ সকলেরই জানা।
মৌলভীবাজার জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও শ্রীমঙ্গল পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি খায়রুজামান কামাল এসব অভিযোগ অস্বীকার করে রাতে মুঠো ফোনে বলেন, শ্রীমঙ্গল পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের রেজি নং-১২২৩ এর আগামী মার্চ মাসে নতুন নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে, ওই নির্বাচনে সাধারণ শ্রমিকদের অনুরোধে আমি সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা থাকায় আমাকে ওই নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ঘটনা সাজিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ মৌলভীবাজার জেলার সহসভাপতি ও শ্রীমঙ্গল থানার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি বলেও দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে কথা বলতে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ এর সরকারি মোবাইল ফোনে একাধিবার কল দিয়ে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুছ ছালেক রাতে মুঠোফোনে বলেন, ‘ঘটনার ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে মামলা নেয়া হয়নি। কারণ হলো তারা নিজেরাই নিজেদের অফিস ভাঙচুর করেছে।


অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর