বর্তমান সরকারের আমলে ২০০৯ সাল হতে ২০১৯ সাল পর্যন্ত গত ১০ বছরে বাংলাদেশের বেকার জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৬৬ লাখ ৩৩ হাজার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী বৈদেশিক কর্মসংস্থান লাভ করেছে। এই ১০ বছরে প্রবাসীরা রেকর্ড সংখ্যক ১৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্রেন্স পাঠিয়েছেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সালমা ইসলামের প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ তথ্য জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। মন্ত্রী জানান, শিগগিরই বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো যাবে। মালয়েশিয়ার শ্রম বাজার চালু করার জন্য এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহনের পর তিনবার তিনি মালয়েশিয়ার মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক করেছেন। সবশেষ গত বছরের ৫ থেকে ৮ই নভেম্বর এ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ একটি প্রতিনিধিদল মালয়েশিয়ায় দ্বিপাক্ষিক সভা করেছি। বৈঠকে নুন্যতম অভিবাসন ব্যয়ে কর্মী প্রেরণ, উভয় দেশের রিক্রুটিং এজেন্সির সম্পৃক্তদের পরিধি, মেডিকেল পরীক্ষা এবং কর্মীর সামাজিক ও আর্থিক সুরক্ষা এবং ডাটা শেয়ারিং বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। তাই শিগগির বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ শুরু হওয়ার আশা প্রকাশ করছি।
তিনি জানান, মালয়েশিয়া সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশ থেকে আপাতত কর্মী নেয়া সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সরকারি দলের সংসদ সদস্য আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতা গ্রহণের পর ২০১৯ সালে ১০৮টি দেশে ৭ লাখ ১৫৯ জন কর্মী পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ হতে এ পর্যন্ত ১৭৩টি দেশে কর্মী প্রেরণ করা হচ্ছে। বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের প্রশ্নের লিখিত জবাবে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত ১৭৩টি দেশে কর্মী প্রেরণ করা হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে শ্রমিক পাঠানো অব্যাহত রয়েছে। একবছরের ব্যবধানে শ্রমিক পাঠানোর পরিমাণ বৃদ্ধিও পেয়েছে। বর্তমানে সৌদি আরবে ৩ লাখ ৯৯ হাজার শ্রমিক রয়েছে। এছাড়াও কাতারে ৫০ হাজার ২৯২ জন, কুয়েতে ১২ হাজার ২৯৯ জন, ওমানে ৭২ হাজার ৬৫৪ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩ হাজার ৩১৮ জন ও বাহরাইনে ১৩৩ জন শ্রমিক রয়েছে। মন্ত্রী জানান, বিদেশে কর্মী প্রেরণে প্রতারণা ও প্রতারণার জন্য দায়ী ব্যক্তিকে অনধিক ৫ বছর এবং অন্যুন ১ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। তবে অপরাধের মাত্রা ভেদে সাজা ১০ বছর হয়। তিনি জানান, ১৯৯১ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৯ লাখ ২ হাজার ৪৮১ জন নারী শ্রমিক বিদেশে গমন করেছেন। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ২০১৯ সালে বিশ্বের ১০৯টি দেশে ৭ লাখ ১৫৯ জন কর্মী প্রেরণ করা হয়েছে।