ইরিক্ষেত স্কিমের ম্যানেজার হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করে আসছেন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার রহিমপুর দড়িকান্দি গ্রামের কৃষক আবদুল জব্বার। চাষাবাদের জমিতে পানি সরবরাহের এ কাজে ‘কৃষকবন্ধু’ হিসেবে কৃষি অধিদপ্তরের পুরস্কারও পেয়েছেন। কিন্তু ইরিক্ষেত স্কিমের ম্যানেজার পদে থাকতে হলে আবদুল জব্বারকে ওই গ্রামের হাসান, আমির হোসেন, গাফফার, আরিফ, শরিফ ও বিল্লালসহ কতিপয় যুবক দুই লাখ টাকা চাঁদা দেয়ার জন্য চাপ দেয়। কৃষক আবদুল জব্বার চাঁদা দাবির বিষয়টি হাসানের অভিভাবককে জানালে ওই যুবকরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এরই জের ধরে গত ১৬ই জানুয়ারি বিকালে মুরাদনগর বাজারে প্রকাশ্যে কৃষক জব্বারের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালায় চাঁদা দাবি করা উল্লিখিত দুর্বৃত্তরা। অস্ত্রধারীরা কৃষক জব্বারের হাত, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। স্থানীয় লোকজন তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় প্রথমে মুরাদনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় ঘটনার ন্যায়বিচার চেয়ে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ৮ নম্বর আমলী আদালতে ২১শে জানুয়ারি মঙ্গলবার মামলা করেন কৃষক আবদুল জব্বার।
আদালত পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই, কুমিল্লাকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। এদিকে আদালতে মামলা দায়েরের পর থেকে আসামিরা কৃষক জব্বার ও তার পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে। কৃষক জব্বারের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন জানান, ‘আসামিরা হিংস্র প্রকৃতির।
এর আগেও তারা আমার স্বামীকে মারধর করেছে, বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে এবং তাকে অপহরণ করে দুইদিন আটকে রেখে ছেড়ে দিয়েছে। আসামিরা যেকোনো সময় আমার স্বামীকে মেরে ফেলতে পারে। তাদের ভয়ে আমরা আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছি’।