× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাইবার দুনিয়ায় নজরদারি

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার
২৩ জানুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার

দুই সিটি’র নির্বাচনকে ঘিরে সাইবার দুনিয়াতে নজরদারি রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নির্বাচনকে সামনে রেখে কোন গোষ্ঠী অথবা কোন ব্যক্তি যাতে উগ্র প্রচার প্রপাগান্ডা, গুজব ও নাশকতার ছক তৈরি করতে না পারে সেদিকে নজরদারি তাদের। নির্বাচন উপলক্ষে ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার, ব্লগ ও ওয়েব সাইট মনিটরিং করা হচ্ছে। কারও পোস্ট অথবা মতামত দেখে যদি সন্দেহজনক মনে হয় তাহলে তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আইনের আওতায় আনবে। সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচনের মাঠে ঘোলাটে পরিস্থিতি তৈরি করতে একটি চক্র মরিয়া হয়ে উঠেছে। এরই অংশ হিসাবে দুর্বৃত্তরা তাদের তথ্যকে দ্রুত ছড়িয়ে দিতে  সাইবার দুনিয়াকে ব্যবহারের চেষ্টা করছে। তবে তাদের বিষয়ে সতর্ক ডিএমপির সাইবার ক্রাইম সেল। ডিএমপির পক্ষ থেকে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে একটি বার্তা পাঠানো হয়েছে।
তারা সাড়া দিয়েছেন। সাড়া দেয়ার বিষয়টিকে কাজে লাগিয়ে সাইবার জগতকে অপরাধ ও নির্বাচনী প্রপাগান্ডা মুক্ত রাখতে উদ্যোগী সংশ্লিষ্টরা। এছাড়াও ডিএমপির পক্ষ থেকে বিটিআরসি’র সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের ডিসি আ.ফ.ম আল কিবরিয়া মানবজমিনকে জানান, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে সাইবার জগতকে অপব্যবহার থেকে মুক্ত করতে আমরা সক্রিয়। কোন গোষ্ঠী যাতে গুজব তৈরি করে পরিবেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে সেইদিকে নজরদারি রয়েছে পুলিশের।

ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন এলেই একটি গ্রুপ মাঠে প্রচার প্রচারণার চাইতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বেশি ব্যবহার করে। ভুয়া পোর্টাল খুলে এবং ফেসবুক আইডির মাধ্যমে তারা দল বা প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্র্রচারণা চালান। মিথ্যা তথ্যও ছড়িয়ে দেন। তাদের দেখে আরও অনেকেই উদ্বুদ্ধ হয়। প্রতিপক্ষ প্রার্থীর বিরুদ্ধে বাজে পোস্ট ও কুৎসা রটায়। ভোটারদের কাছে দলের ও প্রার্থীদের ভাবমূর্তি নষ্ট করে। জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করে। এই সব দুর্বৃত্তকে মনিটরিং করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, গেল নির্বাচনগুলোতে একটি গ্রুপ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য সাইবার জগতে সক্রিয় ছিল। কিন্তু, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি থাকায় তারা তেমন সুবিধা করতে পারেনি। যারা প্রপাগান্ডা করেছে অনেকের আইপি ঠিকানাগুলো হ্যাক করা হয়েছে। একাধিকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, নির্বাচনকে সামনে রেখে দুইটি পক্ষ সাইবার মাঠে সক্রিয়। তারা একে অপরকে আক্রমণ করে পোস্ট দিচ্ছে। কেউ অতীত ইতিহাস পর্যবেক্ষণের ছবি ও ভিডিও আপলোড করছে। কেউ প্রতীক নিয়ে সমালোচনা করছে। কেউ ব্যক্তি পর্যায়ে কে কার থেকে বড়-  এসব সমালোচনা করে সাইবার যুদ্ধে লিপ্ত হচ্ছে। এতে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হচ্ছে। দ্বন্দ্বের কারণে নির্বাচনী মাঠের পরিস্থিতি ঘোলাটে হচ্ছে। এমন কিছু ব্যক্তি পর্যায়ের আইডি ও ওয়েব সাইট চিহ্নিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এগুলোকে চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে তারা ম্যানুয়াল  ও  টেকনিক্যাল পদ্ধতি ব্যবহার করছে।

সূত্র জানায়, সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশেষ পেইজ খোলা হয়েছে। ওই পেইজগুলো অধিকাংশই ভুয়া আইডির। একেকটি ফেসবুক পেইজে একজন করে অ্যাডমিন রয়েছে। কোন পোস্টটি তারা দিবে তা নিজেরা পছন্দ করে ওই পেইজে আপলোড করে। প্রত্যেক পেইজের প্রায় ১৪ থেকে ২০ জন করে সদস্য রয়েছে। পেইজের সদস্যরা ওই নামের মাসেঞ্জারে তথ্য আদান-প্রদান করছে। এতে তাদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ছে।

সাইবার ক্রাইম সেল শাখা জানায়, পুলিশ সদর দপ্তরের সাইবার সেল, ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিট, র‌্যাবের সাইবার ক্রাইম সেল ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং করছে। যেকোনো অপ্রীতিকর পোস্ট তারা দেখতে পেলে সঙ্গে সঙ্গেই  স্কিন শর্ট নিচ্ছে। ভিডিও হলে তারা আপলোড করছে। নির্বাচনের পরে যাতে কোন গোষ্ঠী প্রচার প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে পরিবেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে সেখানেও তাদের নজর থাকবে। প্রবাস থেকে কোন গোষ্ঠী যাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে  পরিবেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে সেদিকেও নজর রাখছে তারা। এছাড়াও এখন পর্যন্ত যারা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার জন্য অভিযুক্ত হয়েছে তারাও নজরদারিতে রয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর