প্রায় আট বছর পর গত জুলাই মাসে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন হয়। নতুন কমিটি শপথ নেয়ার পর সিনেমার নির্মাণ খরচ কমানো থেকে শুরু করে চলচ্চিত্রের উন্নয়নে বেশকিছু পদক্ষেপ নেয় এই সমিতি। আরো কিছু পদক্ষেপের বিষয়ে কথা বলতে সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু, সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, অনান্য নেতার মধ্যে এমডি ইকবাল, ইস্পাহানী আরিফ জাহান, মেহেদী হাসান সিদ্দিকী মনির, আলিমুল্লাহ খোকন, মোহাম্মদ হোসেন জেমীসহ অন্য কয়েকজন নেতা মঙ্গলবার প্রথমবার তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। একসময় নিজস্ব আয়ে চলতো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি)। বিগত কয়েক বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটি ক্রমাগত লসের সম্মুখীন হচ্ছে। তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন এ প্রতিষ্ঠানটি ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সমপ্রতি তাদের সার্ভিস চার্জ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু চলচ্চিত্রের এই দুঃসময়ে চার্জ বাড়ানোর সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির নেতারা। প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু এ প্রসঙ্গে ও মঙ্গলবার তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে বলেন, তথ্যমন্ত্রী বৈঠকের জন্য আমাদের অনেকক্ষণ সময় দিয়েছেন।
চলচ্চিত্রের উন্নয়নের বিষয়ে আমাদের সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে আলাপ করেছেন। বর্তমান সময়ে বেশকিছু নতুন প্রযোজক নতুন কিছু সিনেমা প্রযোজনা করছেন। অতিরিক্ত চার্জ বাড়ালে তো নতুন প্রযোজকরা চলচ্চিত্র নির্মাণে উৎসাহ হারিয়ে ফেলবেন। আমরা বৈঠকে চার্জ বাড়ানোর বিষয়টি তুললে মন্ত্রী মহোদয় আমাদের সমস্যাটি অনুধাবন করেন এবং অতিরিক্ত চার্জ স্থগিত করেন। এ রকম কয়েকটি বিষয়ে তাৎক্ষণিক সমাধান পাওয়া গেছে। এছাড়া বৈঠকে সরকারি অনুদান নিয়েও আলাপ হয়েছে। মেইনস্ট্রিম সিনেমাও অনুদান পাবে এখন থেকে। মেইনস্ট্রিম সিনেমাকে অনুদানের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। আর মুক্তির অপেক্ষায় থাকা সিনেমাগুলোর ট্রেইলার, গান বিনা খরচে বাংলাদেশ টেলিভেশনের (বিটিভি) চট্রগ্রাম কেন্দ্রে দেখানোর সুযোগ থাকবে। এছাড়া শিল্পী কলাকুশলী কল্যাণ ট্রাস্টে প্রযোজকদের বিষয়টি সংযোগ হবে এবার। এ বিষয়েও আলাপ হয়েছে। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকের সময় সচিব কামরুন নাহারও উপস্থিত ছিলেন। তথ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো: মুরাদ হাসানের সঙ্গেও বৈঠক করেন প্রযোজক পরিবেশক সমিতির নেতারা। এ বিষয়ে প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম বলেন, বর্তমান সময়ে চলচ্চিত্রের অবস্থা, সিনেমা হলের সংখ্যা বাড়ানোসহ সিনেপ্লেক্স নির্মাণের জন্য সরকারি উদ্যোগে স্বল্প ঋনের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি তথ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে আমাদের। আলোচনার পর আমরা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। চলচ্চিত্রের উন্নয়নের স্বার্থে ও চলচ্চিত্রের সংকট নিরসনে সামনে আরো কিছু পদক্ষেপ নেবে আমাদের সমিতি।