× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

১৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ প্রতারক রাজু গ্রেপ্তার

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২৩ জানুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার

যশোর থেকে ১৮ মামলার পলাতক আসামি মো. রিয়াজুল ইসলাম রাজুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গত ৯ই জানুয়ারি যশোরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে ফরিদপুরের কোতয়ালী থানায় প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় পাঁচদিনের রিমান্ডে আনা হয়। সিআইডি বলছে, প্রাইম মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সভাপতি রাজু প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের ১৫ কোটি টাকা আত্মসাত করেন। এর আগে, তার সহযোগী শম্পা রানী সাহাও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি জামিনে আছেন।
গতকাল সিআইডির অতিরিক্ত এসপি মো. ফারুক হোসেন জানান, ২০১০ সালে রাজু ও তার সহযোগীরা প্রাইম মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সনদ নিয়ে যশোর, সাতক্ষীরা, ফরিদপুর ও কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের প্রায় ১৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। তারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয় অসাধু ব্যক্তিদের সহযোগিতায় শাখা অফিস খুলে লোভনীয় প্রস্তাবের মাধ্যমে গ্রাহককে বছরে ৩০% লভ্যাংশে সঞ্চয়পত্র খোলা, স্থায়ী আমানতের চার বছরে দ্বিগুণ টাকা দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে ২৫শ’ গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ১৫ কোটি টাকা আত্মসাত করে।
সিআইডি রাজুর সম্পত্তি অনুসন্ধান চালিয়ে অপরাধলদ্ধের ৫ কোটি টাকার সম্পত্তির সন্ধান পায়। তার দুটি বাড়ি, দুটি কাভার্ড ভ্যানসহ ১০ বিঘা জমির সন্ধান পাওয়া যায়।
এছাড়া প্রাইম মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের নামে দুটি গাড়ি ও ছয়টি স্থানে জমির সন্ধান পাওয়া গেছে। এর আগে, কুষ্টিয়ার জনৈক রেহানা এবং আমিরুল বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে তিনি তিন মাস জেল খাটেন। পরে তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। এই চক্রের অন্যতম সদস্য শম্পা রাণী সাহা ২০১৫ সালে গ্রেপ্তার হয়ে কিছুদিন জেল খেটে আবার জামিনে মুক্ত হন। সিআইডির অতিরিক্ত এসপি মো. ফারুক হোসেন জানান, রাজু এবং শম্পা রূপালী ইন্সুরেন্সে ২০০৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত চাকরি করেন। এরপর তারা পরস্পরের যোগসাজসে প্রতারণার কাজে যুক্ত হোন। পরে রাজু ও শম্পাসহ ৮জনের বিরুদ্ধে ফরিদপুরে মামলা হয়েছে। সিআইডির অনুসন্ধানে এই চক্রের ২০টি শাখার সন্ধান পাওয়া গেছে। এসব শাখায় কর্মরত প্রত্যেকেই প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত। এই প্রতারক চক্রের সদস্যরা বর্তমানে বিভিন্ন জেলাতে স্থানীয় নিবন্ধন নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। মামলার আসামি ৮ জনসহ প্রতারক চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যদের ধরতে সিআইডির অভিযান অব্যাহত আছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর