ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় চুরির অপবাদে এক গৃহবধূকে আটকে রেখে শ্লীলতাহানি সহ দিনভর অমানবিক শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। ৯৯৯ এর কলে খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে। তাকে নবীনগর সদর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই নির্যাতিতা উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়নে নোয়াগ্রাম গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী আসমা বেগম। এ ঘটনায় নির্যাতিতার স্বামী বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে নবীনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আসামীরা হলেন ওই একই গ্রামের মৃত আরিফ সমরকারের ছেলে শলিফুর ইসলাম (শরীফ ডাক্তার), সাহেদ সরকার,জনি সরকার, শরীফুল ইসলামের স্ত্রী সীমা আক্তার। গতকাল হাসপাতালের বেডে শয্যাশায়ী নির্যাতিতা আহত ওই গৃহবধূ জানান, একই গ্রামে পার্শ্ববর্তী বাড়ি হওয়ায় সাহেদ সরকার প্রায়ই কু-প্রস্তাব দিয়ে আসমাকে উত্তক্ত করত। তার পরিবারের কাছে এর বিচার চেয়ে কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
এ নিয়ে ওই দুই পরিবারের মাঝে মনোমালিন্য ও বিরোধ চলে আসছিল। তারই জের ধরে গত শনিবার কৌশলে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে বাড়ির দ্বিতীয় তলায় আটকে রেখে টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। স্ত্রীকে আটকে রাখার খবর পেয়ে স্বামী নজরুল ইসলাম ৯৯৯ ফোন দিয়ে স্ত্রীকে উদ্ধারের আবেদন জানায়। এ ব্যাপারে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ রণজিৎ রায় বলেন, মামলা হয়েছে,তদন্ত অব্যাহত আছে।