ফতুল্লায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় মীমাংসা করার নামে ধর্ষককে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করার অপরাধে গ্রেপ্তার হওয়া যুবলীগ নেতা আনিছুর রহমান শ্যামলকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। আনিছুর রহমান শ্যামল ফতুল্লার কাশীপুর ইউনিয়ন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছিলেন। বুধবার কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের স্বাক্ষরিত চিঠিতে শ্যামলের বহিষ্কারের আদেশ দেয়া হয়।
বহিষ্কার আদেশে বলা হয়, ফতুল্লার কাশীপুরে এক কিশোরীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষককে বাঁচাতে মীমাংসা করার কথা বলে কিশোরীসহ তার মাকে শ্যামলের অফিসে ঢেকে নিয়ে যায়। আর সেখানে মীমাংসার নামে ধর্ষককে বাঁচাতে কিশোরীর মাকে হুমকি-ধামকি দিয়ে ধর্ষককে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে। আর এ ঘটনায় ধর্ষণের মামলায় আনিছুর রহমান শ্যামলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়। আর এ মর্মে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে প্রাথমিক অনুসন্ধানে বিষয়টি প্রমাণিত হয়। আর সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক আনিছুর রহমান শ্যামলকে সংগঠন থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
একই সঙ্গে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না মর্মে সংগঠনের চেয়ারম্যান/ সাধারণ সম্পাদক এর বরাবর তার লিখিত জবাব প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে চিঠিতে। ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলী জানান, শ্যামলকে বহিষ্কারের আদেশের বিষয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি আমাকে অবগত করেছেন।